আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি
আমতলীতে শ্রেণি সংকটে ৪০ পরিত্যক্ত ভবনে পাঠদান
বরগুনার আমতলী উপজেলার ৪০ পরিত্যক্ত ভবনে চলছে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাঠদান। এর মধ্যে ১৫টি ভবনের অবস্থা খুবই নাজুক ও ৬টি ভবন খারাপ। এই জরাজীর্ণ ভবনে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পাঠদান করায় ব্যহত হচ্ছে শিক্ষা কার্যক্রম। অভিযোগ আছে, নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী দিয়ে ভবন নির্মাণ করায় অল্প দিনের মধ্যে ভবনগুলো ভগ্ন দশায় পরিণত হয়েছে।
প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় ১৫২ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এর মধ্যে ৪০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জরাজীর্ণ ভবনগুলো ধসে পড়ার ঝুঁকিতে রয়েছে। গত বছর নভেম্বর মাসে এই ভবনগুলো পরিত্যাক্ত ঘোষণা করা হয়।
শিক্ষক ও অভিভাবকের অভিযোগ, স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী বিভাগের অর্থায়নে এ ভবনগুলো ১৯৮৮ সাল থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত সময়ে নির্মাণ করা হয়। ভবন গুলোর ছাদের পলেস্তারা খসে পরেছে। রড রেড়িয়ে গেছে। বৃষ্টি হলে ছাদ চুয়ে পানি পড়ছে। কক্ষের ভেতরের দেয়ালে ফাটল রয়েছে। দেয়ালের পলেস্তরা খসে পড়ছে।
আমতলী একে হাই সংলগ্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, উত্তর সোনখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মধ্য সোনাখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও উত্তর পশ্চিম চরচিলা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ঘুরে দেখা গেছে, ভবনের অবস্থা অত্যান্ত জরাজীর্ণ। ভবনের ছাদ থেকে পলেস্তারা খসে পরছে। ভীম থেকে পলেস্তারা খসে পড়ে লোহার রড বেরিয়ে গেছে। টিনের চালার টিন ফুটো হয়ে গেছে। উত্তর পশ্চিম চরচিলা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জানায়, প্রতিদিন ভবনের পলেস্তারা খসে পরছে। ছাদ চুইয়ে বৃষ্টির পানি পরছে। এ জরাজীর্ণ ভবনে ক্লাস করার সময়ে আতঙ্কে থাকতে হয়, কখন আবার ছাদের পলেস্তারা ভেঙ্গে মাথায় পড়ে। ওই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোসা. ফিরোজা বেগম ও একে হাই সংলগ্ন সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান মো. আব্দুল মান্নান সিকদার বলেন, ভবন পরিত্যাক্ত হওয়ায় শিক্ষার্থীদের ক্লাসে ঠাসাঠাসি করে পাঠদান করাতে হচ্ছে। আমতলী সরকারী প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক একে এম জিল্লুর রহমান বলেন, জরাজীর্ণ পরিত্যক্ত ভবনে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে শিশুদের পাঠদান করাতে যেমন পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে, তেমনি দুর্ঘটনার আশঙ্কাও রয়েছে।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. মজিবুর রহমান পরিত্যাক্ত ভবনে ঝুঁকি নিয়ে পাঠদানের কথা স্বীকার করে বলেন, পরিত্যাক্ত ভবনের তালিকা করে উপজেলা প্রকৌশলী অফিসে জমা দিয়েছি।
"