হাটহাজারী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
হালদায় মৃত ডলফিন
হালদা নদীর গড়দুয়ারা এলাকা থেকে গতকাল বুধবার মৃত অবস্থায় একটি ডলফিন উদ্ধার করেছে স্থানীয়রা। বিষয়টি উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আজাহারুল ইসলামকে অবহিত করা হলে তিনি মৃত ডলফিনটি উপজেলায় নিয়ে আসার পরামর্শ দেন। ফলে ডলফিনটি উপজেলায় নিয়ে আসা হয়। মৎস্য কর্মকর্তা বিষয়টি চট্টগ্রাম বিশ^বিদ্যালয়ের প্রাণীবিদ্যা বিভাগকে অবহিত করলে ডলফিনের আকৃতি দেখে বিশ^বিদ্যালয়ে সংরক্ষণের স্থান হবে না বলে জানিয়ে এইটিকে মাটি চাপা দিয়ে রাখার পরামর্শ প্রদান করেন। মৃত ডলফিনটি প্রায় সাত ফিট লম্বা, ওজন ৪০ থেকে ৫০ কেজি হতে পারে বলে মৎস্য কর্মকর্তা জানান। বিশ^বিদ্যালয়ের প্রাণী বিদ্যা বিভাগে ডলফিন সংরক্ষণের যেস্থান রয়েছে সেখানে পাঁচ ফিট আকৃতির ডলফিন রাখা যাবে। বড় সাইজের এ আকৃতির ডলফিন সংরক্ষণ করতে ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা খরচ হবে। এইদিকে ডলফিনটি হাটহাজারী কলেজে সংরক্ষণ করতে চাইলে ও আকৃতি বড় হওয়ায় সেখানে ও সংরক্ষণ করা যায়নি। চট্টগ্রাম বিশ^বিদ্যালয়ের প্রাণী বিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক মঞ্জুরুল কিবরিয়া জানান, বাংলাদেশে ১২ শ ৫০ টির মত ডলফিন রয়েছে। তারমধ্যে ৩ শর মত হালদা নদীতে রয়েছে।
এ প্রজাতী ডলফিনকে গাঙ্গেয় ডলফিন বলা হয়। এ ডলফিন পরিবেশ নির্দেশক। পরিবেশ উপযোগী হলে এ ডলফিন হালদা নদীতে থাকবে। অন্যথায় পরিবেশ যখন প্রতিকূল হবে ডলফিন এ নদীতে থাকবে না। বিশে^র উন্নত দেশে এ জাতীয় ডলফিন সংরক্ষণের জন্য সরকারিভাবে নানা উদ্যেগ গ্রহন করা হয়ে থাকে। গাঙ্গেয় ডলফিন জলজ স্তন্যপায়ি প্রাণী। এ প্রাণী অন্যান্য মাছের মত ডিম ছাড়ে না। এগুলো বাচ্চা প্রসব করে। বাচ্চাগুলো মার দুধ পান করে বেঁচে থাকে। গত তিনমাস আগে কাগতিয়া এলাকায় ও একটি ডলফিন মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। বড় আকৃতির হওয়ায় এ ডলফিনকেও মাটি চাপা দিয়ে রাখা হয়। পরে এ মৃত ডলফিনের হাড়গুলো সংযুক্ত করে কঙ্কাল হিসাবে রাখা যাবে। এছাড়াও কয়েক বছরে প্রায় দশটি ডলফিন মারা গেছে।
"