মঠবাড়িয়া (পিরোজপুর) প্রতিনিধি
পাঁচ মাসেও হয়নি ভেঙে পড়া সেতুটি
মঠবাড়িয়া-পিরোজপুর সড়কের ভা-ারিয়ার মাদার্সী নামক স্থানের জনগুরুত্বপূর্ণ বেইলি সেতু ভেঙ্গে যাওয়ার ৫ মাসেও নির্মাণ হয়নি। ফলে দ?ক্ষিণাঞ্চলের চার উপজেলার ১০ লাখ মানুয়ের চলাচলে চরম ভোগান্তিসহ ১২টি রুটের সরাসরি যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। ভাঙ্গা ব্রিজের ২০ ফুট দূরে কাঠের একটি পুল নির্মাণ করলেও তা দিয়ে কোন যানবাহন চলাচল করতে পারছে না।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মঠবাড়িয়া-পিরোজপুর ব্যস্ততম একমাত্র সড়কে গত ১২ আগস্ট মঠবাড়িয়াগামী দুটি পাথর বোঝাই ট্রাক ভান্ডারিয়ার মাদার্সী সেতু পার হওয়ার সময় প্রায় ২শ ফুট লম্বা এ বেইলী সেতুটি ভেঙ্গে খালে পড়ে যায়। সেই থেকে মঠবাড়িয়া, পাথরঘাটা, বামনা ও ভা-ারিয়া উপজেলার একাংশের প্রায় ১০ লাখ মানুষের সড়ক পথে সরাসরি চলাচল বন্ধ রয়েছে। এই সড়ক দিয়ে ঢাকা, খুলনা, পিরোজপুর, মঠবাড়িয়া, পাথরঘাটা, বরিশাল মহাসড়কের প্রায় ১২টি রুটে সরাসরি যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এ কারণে উপকূলীয় পাথরঘাটা মৎস্য আহরণ কেন্দ্র হতে সারা দেশে মাছ সরবরাহে বিঘœ ঘটছে।
পিরোজপুর সড়ক ও জনপদ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, চরখালী-তুষখালী-মঠবাড়িয়া-পাথরঘাটা ১৯৮৮ সালে ৫০ কিলোমিটার সড়কে ১০ বছরের স্থায়িত্বে ২০টি বেইলি সেতু নির্মাণ করলেও সেতুগুলোর প্রায় তিন গুণ সময় অতিক্রম করেছে। এছাড়াও সেতুগুলোর ধারণ ক্ষমতা ১০ টন হলেও প্রতিনিয়ত অধিকাংশ অসাধু ট্রাক ড্রাইভারেরা ১৫ থেকে ২০ টনের অধিক ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন যানবাহন চলাচলের ফলে সেতুগুলো আরো ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে।
গত বছর জুন মাসে একই সড়কের মঠবাড়িয়ার গুদিঘাটার সেতুটি অতিরিক্ত দুইটি পাথর বোঝাই ট্রাক একসাথে উঠে পরায় সেতুটি ধ্বসে নদীতে পরে যায় এতে ঘটনাস্থলেই একজন নিহত হয়। ওই সেতুটি নির্মাণ না হওয়ায় উপকুলীয় এলাকার লোকজন দুর্ভোগে পড়ে।
"