ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি
সাবেক ইউপি সদস্যসহ সাতজনের নামে মামলা করলেন সেই গৃহবধূ
দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় ৭ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেছে নির্যাতনের শিকার সেই গৃহবধূ। গত শনিবার রাতে ঠাকুরগাঁও সদর থানায় গৃহবধূ নিজে বাদী হয়ে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে একটি মামলা করেন। তার এই ভূমিকা স্বাগত জানিয়েছেন জেলার নারী সংগঠন ও সাধারণ গৃহবধূরা। তবে মামলা করার পর থেকে অভিযুক্তদের হুমকির মুখে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন গৃহবধূর পরিবার। গত শুক্রবার রাতে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার বড়গাঁও ইউনিয়নের মোলানখুড়ি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
মামলায় নাম উল্লিখিত ৭ অভিযুক্ত হলেন : রবীন্দ্র নাথ রায় (৩৭), জামাল উদ্দীন (৪৫), আব্দুল গফুর (৩৫), লিয়াকত আলী মানিক (৩২), লিয়াকত (৩৮), হামিদুর রহমান (৩০), আব্দুর রশিদ (৩৯)। এর মধ্যে রবীন্দ্র নাথ রায় রাজাগাঁও ইউনিয়নের ৮ ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য। ঠাকুরগাঁও সদর থানার উপ-পরিদর্শক (তদন্ত) কফিল উদ্দীন বলেন, এ মামলায় রবীন্দ্র নাথ রায় ও আব্দুল গফুরকে আমরা গ্রেপ্তার করেছি; বাকি আসামীদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। মামলার বলা হয়, গত শুক্রবার গভীর রাতে বাড়ি থেকে গৃহবধুকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে তুলে নিয়ে যায় স্থানীয় রবীন্দ্র নাথ রায়, জামাল উদ্দীন, আব্দুল গফুর, লিয়াকত আলী, মানিক, লিয়াকত, হামিদুর ও আব্দুর রশিদ। এরপর গৃহবধুর বাড়ি থেকে প্রায় ৬শ গজ দুরে সেনুয়া নদীর পারের এক বাঁশঝাড়ে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করা হয়। এরপর সেখান থেকে আবারো এক কিলোমিটার উত্তরে একটি আবাদি জমিতে নিয়ে যাওয়া হয় ওই গৃহবধুুকে। সেখানে একটি বাঁশের খুঁটি পুতে তার সঙ্গে গৃহবধুর হাত-পা বেঁেধ পুনরায় ধর্ষণ করা হয়। এসময় গৃহবধু চিৎকার করলে হামলাকারীরা ছুড়ি দিয়ে গৃহবধুর গলা কেটে দিয়ে পালিয়ে যায় বলে অভিযোগে বলা হয়। এরপর শনিবার সকাল ৬টার দিকে স্থানীয় লোকজন গৃহবধুকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার করে ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। এখনো তিনি ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
"