ঢাবি প্রতিনিধি
‘একাত্তরের পরও থেমে নেই বুদ্ধিজীবী হত্যা’
বাংলাদেশকে মেধাশূন্য করার পাশাপাশি মুক্তবুদ্ধির চর্চা আটকাতেই একাত্তরে সাম্প্রদায়িক শক্তি বেছে বেছে বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করেছিল বলে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের এক আলোচনায় বলেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। সাম্প্রতিক কয়েক বছরে টার্গেট কিলিংয়ে লেখক-অধ্যাপকসহ মুক্তমনাদের হত্যার প্রসঙ্গে টেনে তারা বলেছেন, মুক্তবুদ্ধির চর্চা আটকাতে একাত্তরের পরও থেমে নেই বুদ্ধিজীবী হত্যা। গতকাল বৃহস্পতিবার শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উদ্যাপন উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে (টিএসসি) এ আলোচনা সভার আয়োজন করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
উপাচার্য অধ্যাপক আখতারুজ্জামান বলেন, আমরা যে জঙ্গিবাদের কথা বলি সে জঙ্গিবাদকেও হার মানিয়ে দিয়েছিল ওই বুদ্ধিজীবী হত্যাযজ্ঞ।
আলোচনায় উপ-উপাচার্য অধ্যাপক নাসরীন আহমাদ বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় যাদের হারিয়েছে তাদের মতো ‘পন্ডিত’ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আর কেউ হয়নি। তিনি বলেন, তারা যে পঙ্গু করতে চেয়েছিল, মেধাশূন্য করতে চেয়েছিল; তারা অনেকখানি সফল হয়েছেও। কারণ আমরা এখনো কিন্তু ঠিক যাদেরকে হারিয়েছি, তাদের মাপের ব্যক্তিত্ব, পান্ডিত্য বা সমমর্যাদার কাউকে পাইনি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াতুল ইসলাম বলেন, পাকিস্তানিরা যখন বুঝতে পারল পরাজয় নিশ্চিত, তখন পূর্বের তালিকানুযায়ী ‘আমাদের অনেক বুদ্ধিজীবী, যারা তখনো বেঁচে ছিলেন তাদের ধরে ধরে’ হত্যা করেছে।
"