নিজস্ব প্রতিবেদক
‘অটোচালকদের ধর্মঘট’
যাত্রীদের জিম্মি করা কর্মসূচি কঠোরভাবে দমনের দাবি
যাত্রী অধিকার আন্দোলনের মানববন্ধনে সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে যারা কর্মসূচি দিচ্ছে তাদের কঠোরভাবে দমনের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে যাত্রী অধিকার আন্দোলন। একই সঙ্গে গণবান্ধব ডিজিটাল বাহনগুলোর বিরুদ্ধে চলমান সব ষড়যন্ত্র বন্ধেরও দাবি তুলেছে সংগঠনটি। এর নেতারা গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশে এসব দাবি জানান।
অ্যাপভিত্তিক পরিবহনের (উবার, পাঠাও) বিরুদ্ধে অটোরিকশা চালকদের ডাকা ধর্মঘট কর্মসূচির সমালোচনা করেছেন যাত্রী অধিকার আন্দোলনের আহ্বায়ক কেফায়েত শাকিল। বৃহস্পতিবারের মানববন্ধনে তিনি বলেন, অটোরিকশা মালিক-চালকদের বেপরোয়া আচরণে সাধারণ যাত্রীরা তাদের দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন। এতে ঈর্ষাপরায়ণ হয়ে তারা আবারও ধর্মঘটের নামে নগরবাসীকে জিম্মি করার হুমকি দিচ্ছে। আমরা এ ধরনের কর্মসূচির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
যাত্রীদের জিম্মি করার পরিবর্তে চালকদের প্রতি পরিবহন সেবা চালু করার পরামর্শ দিয়েছেন যাত্রী অধিকার আন্দোলনের আহ্বায়ক। তার কথায়, যাত্রীবান্ধব পরিবহন সেবা চালু করলে মানুষ আবারও সিএনজি অটোকে বেছে নেবে। তাই আপনারা নৈরাজ্য বন্ধ করে মালিক-শ্রমিক সমঝোতার মাধ্যমে যাত্রীসেবার পথে ফিরে আসুন। বাস মালিকদের অটোরিকশা থেকে শিক্ষা নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন কেফায়েত শাকিল। তার ভাষ্য, ‘নৈরাজ্যের কারণে অটোরিকশার দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে যাত্রীরা। আপনারা অটোরিকশা থেকে শিক্ষা নিয়ে সিটিং সার্ভিসের নামে নৈরাজ্য বন্ধ করে যাত্রীবান্ধব পরিবহন ব্যবস্থা চালু করুন। নয়তো যেকোনো সময় আপনাদেরও বর্জনের ডাক দেবে নগরবাসী।’
রাজধানীসহ সারাদেশে অটোরিকশা আর গণপরিবহনে যাত্রী হয়রানি ও সেবার নামে নৈরাজ্য বন্ধসহ আট দফা দাবি জানায় যাত্রী অধিকার আন্দোলন। এর মধ্যে রয়েছে- নামে-বেনামে চালু হওয়া সিটিং সার্ভিসের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া, রাজধানীতে উন্নত পরিবহন ব্যবস্থা চালু করা, সড়ক দুর্ঘটনা রোধে মৃত্যুদন্ডের বিধান রেখে আইন করা ও শিক্ষার্থীদের হাফভাড়া কার্যকর করা।
"