জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতি করে উত্তীর্ণ হওয়ার অভিযোগে আরো চারজনকে আটক করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। গতকাল বৃহস্পতিবার ওই চার ভর্তীচ্ছুকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এরা হলেন মো. খায়রুল ইসলাম, হিমাদ্রী সাহা, রাশিদুল হাসান রাজন ও অলি আহমেদ। এদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন নিরাপত্তা কর্মকর্তা মো. জেফরুল হাসান চৌধুরী।

প্রক্টর অফিস সূত্রে জানা যায়, মো. খায়রুল ইসলাম সাতক্ষীরার আশাশুনির মো. রফিকুল ইসলামের ছেলে। তিনি কলা ও মানবিকী অনুষদে (সি ইউনিট) ৭৭তম স্থান পেয়ে জার্নালিজম অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগে ভর্তি হতে এসে আটক হন। হিমাদ্রী সাহা নেত্রকোনার পাহাড়ি সাহার ছেলে। তিনিও একই বিভাগে ভর্তি হতে এসে আটক হন। রাশিদুল হাসান রাজন নেত্রকোনার খালিয়াজুড়ি থানার লিপসা গ্রামের মো. জানু মিয়া ইসলামের ছেলে। তিনি কলা ও মানবিকী অনুষদে ৭৬তম স্থান লাভ করেন। ওলি আহমেদ রাজশাহীর বাঘা থানার কুশাবাড়িয়া গ্রামের জান মোহাম্মদের ছেলে। তিনি কলা ও মানবিকী অনুষদে ২১তম হয়ে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগে ভর্তি হতে এসে আটক হন। প্রক্টর অধ্যাপক তপন কুমার সাহা বলেন, আটকরা ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত। তাদের পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে। এ নিয়ে ভর্তি পরীক্ষা চলাকালে জালিয়াতির অভিযোগে সাক্ষাৎকারে পার পেয়ে যাওয়া সাত ভর্তীচ্ছুকে আটক করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

"