নিজস্ব প্রতিবেদক
ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে
কাজ থেমে নেই গভীর রাতেও
গভীর রাতেও চলছে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পের কাজ। গত শুক্রবার রাত ২টার দিকে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সামনে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্প এলাকায় গিয়ে দেখা গেল পুরোদমে কাজ চলছে। প্রকল্প এলাকার নিরাপত্তা কর্মকর্তা শামীম হোসেন জানান, এখন রাত-দিন কাজ চলছে। মূলত এখানে ঢালাইয়ের জন্য মসলা প্রস্তুত করা হয়। এ মসলা রাজধানীর বিভিন্ন অঞ্চলে এ প্রকল্পের জন্য নির্ধারিত স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়। বেশ কিছু এলাকায় পাইলিংয়ের কাজে চলছে এ মসলা দিয়েই।
জানা গেছে, প্রকল্পের প্রথম অংশে বিমানবন্দর থেকে বনানী ওভারপাস পর্যন্ত সাত দশমিক ৪৫ কিলোমিটারের মধ্যে ২৩৩টি পায়ার বসবে। প্রকল্পের দ্বিতীয় ভাগে বনানী থেকে তেজগাঁও অংশের অধিগ্রহণ করা জমি থেকে বিভিন্ন স্থাপনা সরিয়ে নেওয়ার কাজও চলছে। প্রকল্পের তৃতীয় অংশের (মগবাজার থেকে কুতুবখালী) জমি অধিগ্রহণও শেষ হয়েছে। ২০২০ সালের মধ্যে এ প্রকল্পের কাজ শেষ করার সময় নির্ধারণ করে দিয়েছে সরকার। সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বের (পিপিপি) এ প্রকল্পে বিনিয়োগ ও নির্মাণকাজের দায়িত্বে আছে ইতাল-থাই ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি। শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে কুড়িল, বনানী, মহাখালী, তেজগাঁও, মগবাজার, কমলাপুর, সায়েদাবাদ ও যাত্রাবাড়ী হয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুতুবখালী এলাকায় গিয়ে পড়বে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে। এর মূল লাইনের দৈর্ঘ্য বিমানবন্দর থেকে কুতুবখালী পর্যন্ত ১৯ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার। ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণের জন্য ২০১১ সালের ১৯ জানুয়ারি ইতাল-থাইয়ের সঙ্গে প্রথম চুক্তি করে সেতু বিভাগ। সে বছর ৩০ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।
"