নিজস্ব প্রতিবেদক

  ১৯ নভেম্বর, ২০১৭

ঢাকায় আবার লক্কড়ঝক্কড় গাড়ির বিরুদ্ধে অভিযান

আজ রোববার থেকে আবার রাজধানীতে লক্কড়ঝক্কড় ও লাইসেন্সবিহীন গণপরিবহনের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু হচ্ছে। এক মাস পর্যন্ত চলবে এ অভিযান। পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী পাঁচটি স্থানে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি), ডিএমপি ও বিআরটিএ এ অভিযান পরিচালনা করবে।

গত ১৩ নভেম্বর ডিএসসিসিতে ২৬টি সংস্থার এক সমন্বয় সভা হয়। ওই সভায় মেয়র সাঈদ খোকন বলেন, রাজধানীর যানজট অসহনীয় পর্যায়ে চলে গেছে। কিন্তু যখন ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়, তখন যানজট কম থাকে। ডিএমপি, ডিএসসিসি ও বিআরটিএ যৌথভাবে আগামী ১৯ নভেম্বর থেকে টানা এক মাস ডিএসসিসির পাঁচটি এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করবেন। এ প্রসঙ্গে ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার মফিজউদ্দিন আহমেদ সভায় বলেন, ঢাকায় ৩০০ কোম্পানির প্রায় আট হাজার বাস চলাচল করে। শহরের বাইরে থেকে গাড়ি ঘুরবে। শহরের মধ্যে গাড়ি ঘুরতে পারবে না। বিআরটিএ, ডিএমপি ও ডিএসসিসির একজন করে মোট তিনজন কর্মকর্তাকে নিয়ে একটি কমিটি করা হয়েছে। প্রধান সমন্বয়ক করা হয়েছে ডিএসসিসির প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা কামরুল ইসলামকে। এ প্রসঙ্গে কামরুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, রোববার (আজ) থেকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে পুরোনো বাসের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু হবে। এ ব্যাপারে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।

লক্কড়ঝক্কড় গাড়ি ঢাকার রাজপথে : রাজধানী ঘুরে দেখা গেছে, সম্প্রতি নতুন কয়েকটি বাস নামানো হলেও চলাচলরত বেশির ভাগ গণপরিবহনেরই ফিটনেস নেই। বাসের গায়ে আঁচড়ের দাগ। কোনো কোনো বাসের পেছনে ও সামনের অংশ ভেঙে গেছে। তবু এসব বাস রাজপথে আছে। চলার যোগ্য নয়, তার পরও চলছে। রাজধানীতে চলাচলরত এমন যানবাহনের প্রকৃতসংখ্যা কত, তার সঠিক হিসাব বিআরটিএতেও নেই। তবে গত ৫ মার্চ থেকে টানা এক মাস অভিযান পরিচালনা করে সংস্থাগুলো। ওই অভিযানে টানা এক মাসের অভিযানে ৭২ চালককে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদ- দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ ছাড়া এক হাজার ১৮৮টি মামলা, ২৬ লাখ এক হাজার ৫০ টাকা জরিমানা ও ৬৫টি বাস-মিনিবাস ডাম্পিংয়ে পাঠিয়েছে।

এর আগে ২০১৪ সালের আগস্টে অভিযান শুরুর পর ফিটনেস করানো এবং অভিযানে আটক গাড়ির সংখ্যা হিসাব করলে এক লাখের কাছাকাছি হবে। ওই বছর হাইকোর্ট যখন ফিটনেসবিহীন মোটরযান চলাচল বন্ধের জন্য সরকারকে নির্দেশ দেন, তখন রাজধানীতে এর সংখ্যা ছিল দেড় লাখ। হাইকোর্টের নির্দেশের পর ফিটনেসবিহীন যানবাহনের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করে বিআরটিএ। মাসখানেক এ অভিযানে গতি থাকলেও পরে তা ঝিমিয়ে পড়ে। অভিযান শুরু হলে লক্কড়ঝক্কড় গাড়ি চলাচল আপনা আপনি বন্ধ হয়ে যায়। সে ধাক্কা সামলিয়ে এখন সেগুলো আবার রাজপথে। এসব গাড়িই রাজধানীর গলার কাঁটার মতো প্রতিনিয়ত ভয়াবহ যানজট সৃষ্টি করে চলেছে। আইনের তোয়াক্কা না করে প্রশাসনের নাকের ডগায় চলাচলের অযোগ্য এসব গাড়ি দিয়ে চুটিয়ে ব্যবসা করছে এক শ্রেণির পরিবহন মালিক। সেবা তো দূরের কথা যাত্রীরা সামান্য নিরাপদ নয় এসব ঝুঁকিপূর্ণ যানবাহনে। প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা। সঙ্গে ভোগান্তি তো আছেই। এমন ঝুঁকিপূর্ণ যানবাহন রাস্তায় চলাচলের কারণে শুধু দুর্ভোগই নয়, ক্ষতির মুখে পড়ছে ঢাকার পরিবেশ, নষ্ট হচ্ছে সৌন্দর্যও।

ভুক্তভোগী যাত্রীদের অভিযোগ, ট্রাফিক পুলিশের সামনেই অবাধে ফিটনেসবিহীন যানবাহন চললেও নেওয়া হচ্ছে না যথাযথ ব্যবস্থা। বিআরটিএ সূত্রে দাবি করা হয়েছে, ফিটনেসবিহীন গাড়ির বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত আছে। সাপ্তাহিক ছুটি বাদে প্রতিদিনই অভিযান চলছে। ফিটনেসবিহীন ত্রুটিপূর্ণ গাড়ি ধরা হচ্ছে, জরিমানা করা হচ্ছে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist