নিজস্ব প্রতিবেদক
‘গৃহায়ন অর্থায়ন মেলা’ উদ্বোধন করে পূর্তমন্ত্রী
সরকার বস্তিবাসীর জন্য ভাড়াভিত্তিক ফ্ল্যাট বানাবে
বস্তিবাসীদের আবাসন সমস্যা নিরসনের জন্য সরকার ভাড়াভিত্তিক ১০ হাজার ফ্ল্যাট নির্মাণ করবে বলে জানিয়েছেন গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন। গতকাল বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ হাউস বিল্ডিং করপোরেশনের উদ্যোগে ও রিহ্যাবের সহযোগিতায় প্রথমবারের মতো তিন দিনের গৃহায়ন অর্থায়ন মেলা উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। তিনি জানান, নভেম্বরের শেষ সপ্তাহে সাড়ে পাঁচ শ ফ্ল্যাট নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের মাধ্যমে এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হবে।
রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলের বেলকনি হলে এ মেলার আয়োজন করা হয়। তিন দিনব্যাপী ‘গৃহায়ন অর্থায়ন মেলা-২০১৭’ মেলায় ৩১টি ডেভেলপার প্রতিষ্ঠান, ৭টি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানসহ সর্বমোট ৪৭টি প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছে। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত মেলা উন্মুক্ত থাকবে। চলবে কাল শনিবার পর্যন্ত।
অনুষ্ঠানে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের মো. ইউনূসুর রহমান, হাউস বিল্ডিং করপোরেশনের চেয়ারম্যান শেখ আমিন উদ্দিন আহমেদ, রিহ্যাবের সভাপতি আলমগীর শামসুল আলামিন কাজল, রিহ্যাবের সহ-সভাপতি লিয়াকত আলী ভুঁইয়া প্রমুখ বক্তব্য দেন। সভাপতিত্ব করেন হাউস বিল্ডং করপোরেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক দেবাশীষ চক্রবর্তী।
মন্ত্রী বলেন, বস্তিবাসীরা অত্যন্ত মানবেতর জীবনযাপন করেন। তাই তাদের আবাসনের জন্য আমরা ৬৫০ স্কয়ার ফুটের ফ্ল্যাট নির্মাণ করব। সেখানে টয়লেটসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা হবে। সেখানে চার থেকে পাঁচজন ভালোভাবে বসবাস করতে পারবেন। ভাড়া আনুমানিক প্রায় আট হাজার টাকার মধ্যে থাকবে। বস্তিবাসীরা দৈনিক, সাপ্তাহিক বা মাসিকভাবে ভাড়া পরিশোধের সুবিধা পাবেন।
তিনি আরো বলেন, সবার জন্য আবাসন নিশ্চিত করতে হলে শুধু নগরে বসবাসকারীদের জন্যই নয়, গোটা দেশের জন্য একটি পরিকল্পনা প্রণয়ন অত্যন্ত জরুরি হয়ে পড়েছে। গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়াধীন নগর উন্নয়ন অধিদফতর দেশের ১৪টি উপজেলায় বিস্তারিত পরিকল্পনা প্রণয়ন করেছে। পায়রা সমুদ্রবন্দর ও কুয়াকাটাসহ দক্ষিণাঞ্চলের আরো সাতটি উপজেলার পরিকল্পনা প্রণয়নের কাজও শুরু করা হয়েছে। সারাদেশের পরিকল্পনা ব্যতীত কৃষি জমি সুরক্ষা করা সম্ভব নয়।
মন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার গৃহায়নকে অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নের কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে বিবেচনা করে থাকে। বাংলাদেশের মতো জনবহুল একটি দেশে সবার জন্য আবাসন নিশ্চিত করা কঠিন কাজ। আমাদের দেশের শতকরা ৭২ ভাগ লোক গ্রামে বসবাস করে এবং দেশের মোট গৃহের ৮১ ভাগ গ্রামে অবস্থিত। এই ৮১ ভাগ গৃহের মধ্যে ৮০ ভাগই নিম্নমানের কাঠামো। জনসংখ্যা বৃদ্ধির কারণে যেখানে-সেখানে বাড়িঘর নির্মাণ করায় প্রতিদিন প্রায় ২৩৫ হেক্টর কৃষিজমি নষ্ট হচ্ছে।
"