নিজস্ব প্রতিবেদক

  ১৯ আগস্ট, ২০১৭

বেড়েছে মসলার দাম সবজিও চড়া

দেশের উত্তরাঞ্চলে বন্যা ও সারা দেশে ব্যাপক বৃষ্টি এবং জলাবদ্ধতার কারণে রাজধানীর বাজারগুলোতে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে সবজিসহ প্রায় সব পণ্য। আর আসন্ন কোরবানির ঈদ সামনে রেখে বাড়তে শুরু করেছে সব ধরনের মসলার দাম। জিরা, দারচিনি ও এলাচে কেজিতে বেড়েছে ৩০ টাকা থেকে ১৫০ টাকা। এদিকে বেড়ে যাওয়া পেঁয়াজের দাম কিছুটা কমেছে। গতকাল শুক্রবার রাজধানীর মহাখালী কাঁচাবাজারসহ কয়েকটি বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। বাজারে সবজি, মাছসহ সব ধরনের পণ্যের দাম বাড়ার জন্য অব্যাহত বৃষ্টিপাতকে দায়ী করছেন ব্যবসায়ীরা।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সপ্তাহের ব্যবধানে জিরার দাম কেজিপ্রতি ২০ টাকা থেকে ৩০ টাকা বেড়ে গতকাল বিক্রি হয়েছে ৪২০-৪৩০ টাকা; দারচিনি ২০ টাকা বেড়ে ৩২০ টাকা; শুকনামরিচ ১৮০ টাকা কেজি। তবে এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি দাম বেড়েছে এলাচের। গত সপ্তাহে যে এলাচ কেজিপ্রতি ১৫০০ টাকা বিক্রি হয়েছে; ১৫০ টাকা বেড়ে তা গতকাল বিক্রি হয়েছে ১৬৫০ টাকা দরে। এ ছাড়া লবঙ্গ ১৫০০ টাকা; দেশি আদা ২০ টাকা বেড়ে ১৮০ টাকা; আমদানি করা চীনের আদা ১৪০ টাকা; কেরালার আদা ৯৫ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে।

এদিকে, গত কয়েক সপ্তাহে বেড়ে যাওয়া পেঁয়াজের দাম কিছুটা কমেছে। কেজিপ্রতি পাঁচ টাকা কমে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৫৫ টাকা, বিদেশি ৫০ টাকা।

তবে ব্যাপক বন্যা ও বৃষ্টিপাতের কারণে কাঁচামরিচের দাম বেড়েছে ২০ টাকা কেজি। গতকাল কাঁচামরিচ কেজিপ্রতি বিক্রি হয়েছে ১৬০-২০০ টাকা। এ ছাড়া কেজিপ্রতি দেশি রসুন ১১০ টাকা, আমদানি করা ভারতীয় রসুন ১৩০ টাকা দরে।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, উত্তরাঞ্চলসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টি ও বন্যার কারণে আড়তে পেঁয়াজ, রসুন ও আলু সংরক্ষণে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। উৎপাদন পর্যায়ের কৃষকরা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে এর প্রভাব পড়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়েছে পেঁয়াজ ও কাঁচামরিচে। ব্যবসায়ী হৃদয় বলেন, পেঁয়াজের দাম নতুন করে বাড়েনি। বরং কেজিপ্রতি পাঁচ টাকা করে কমেছে। তবে আসন্ন কোরবানি ঈদের ইতোমধ্যে বাজারে মসলার ঘাটতি দেখা দিয়েছে। ফলে দাম একটু বাড়তি।

এদিকে, আগের দামেই স্থিতিশীল রয়েছে অধিকাংশ মুদি পণ্যের দাম। গতকাল বাজারে কেজিপ্রতি দেশি মুগডাল ১৩০ টাকা, ভারতীয় মুগডাল ১২০ টাকা, মাষকলাই ১৩৫ টাকা, দেশি মসুরডাল ১২৫ টাকা, ভারতীয় মসুরডাল ৮০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। তবে বেড়েছে তেলের দাম। বাজারে ব্র্যান্ড ভেদে ৫ লিটারের বোতল ৫৩০-৫৪০ টাকা, প্রতি লিটারে ১-২ টাকা বেড়ে ১০৭ টাকা থেকে ১০৯ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে, সপ্তাহের ব্যবধানে বেগুন কেজিপ্রতি ১০ টাকা বেড়ে বিক্রি হয়েছে ৭০ টাকা দরে। এ ছাড়া সব ধরনের সবজির দাম ৫ টাকা থেকে ১০ টাকা হারে বেড়েছে। শিম ১২০ টাকা, হাইব্রিড টমেটো ১৬০ টাকা, দেশি টমেটো ১০০ টাকা, শশা ৬০, চালকুমড়া ৫০-৫৫, কচুরলতি ৬০-৬৫, পটোল ৫০-৫৫, ঢেঁড়স ৫০, করলা ৫০, পেঁপে ৪০, কচুরমুখী ৫০ টাকা কেজি বিক্রি হয়েছে। চালের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, মোটা স্বর্ণা চাল প্রতি কেজি ৪২-৪৩ টাকা, পারিজা চাল ৪২ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। এ ছাড়া মিনিকেট (ভালো মানের) ৫৪ টাকা, মিনিকেট (সাধারণ) ৫২, বিআর-২৮ ৪৮, সাধারণ মানের নাজিরশাইল ৫০, উন্নত মানের নাজিরশাইল ৫২, পাইজাম চাল ৪৮, বাসমতী ৫৩, কাটারিভোগ ৭২ টাকা এবং পোলাও চাল (পুরনো) ১০০ টাকা, (নতুন) ৮০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে।

স্থিতিশীল মাছের বাজার। মানভেদে প্রতি কেজি রুই ২৮০-৪০০ টাকা, সরপুঁটি ৩৮০, কাতলা ৩৫০, তেলাপিয়া ১৪০, চাষের কৈ ৩০০, টেংরা ৬০০, মাগুর ৬০০, প্রকার ভেদে চিংড়ি ৪০০, ৫০০ গ্রাম ওজনের প্রতিটি ইলিশ ৭০০-৭৫০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে।

মাংসের বাজারে গিয়ে দেখা যায়, ব্রয়লার মুরগি প্রতি কেজি ১৪০ টাকা। লেয়ার মুরগি ২২০ টাকা এবং পাকিস্তানি লাল মুরগি ২৮০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। এ ছাড়া প্রতি কেজি গরুর মাংস ৫০০ টাকা এবং খাসির মাংস ৭৫০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist