নিজস্ব প্রতিবেদক
এডাবের সংবাদ সম্মেলন
নদ-নদী, জলাশয় ও খাল রক্ষার আহ্বান
বৈশ্বিক উষ্ণায়ন ও জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব মোকাবিলায় নদ-নদী, উন্মুক্ত জলাশয় ও খাল রক্ষায় সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন বক্তারা। গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে বাংলাদেশে কর্মরত বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থাসমূহের সমন্বয়কারী প্রতিষ্ঠানের (এডাব) উদ্যোগে ভবদহ অঞ্চলের স্থায়ী জলাবদ্ধতা নিরসনকল্পে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তারা এ আহ্বান জানান।
বক্তারা বলেন, যারা অবৈধভাবে মাটি উত্তোলন, লিজ গ্রহণ ও জলমহাল দখল করে দেশের প্রাকৃতিক বিপর্যয় ঘটিয়ে চলেছে সেইসব স্বার্থান্বেষী ব্যক্তিদের বিচারের আওতায় আনতে হবে, তবেই ভুক্তভোগী মানুষ সীমাহীন সংকট থেকে রক্ষা পাবে। দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণের মাধ্যমে দেশের নদ-নদী, খাল-বিল দখলমুক্ত করে স্বাভাবিক পানিপ্রবাহ সৃষ্টি করতে হবে-এ কথা উল্লেখ করে তারা বলেন, জলাবদ্ধতা নিরসনে নদ-নদীর পলি দিয়ে নিচু ভূমি উঁচু করা ছাড়া বিকল্প নেই। শুধু বেড়িবাঁধ উঁচু করে বহুমুখী এসব সমস্যার সমাধান হবে না। মুক্ত প্লাবন এবং নদ-নদীর পুনর্জাগরণই এই সংকট নিরসনে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখতে পারে।
সংবাদ সম্মেলনে এডাবের পরিচালক এ কে এম জসীম উদ্দিন, চেয়ারম্যান জয়ন্ত অধিকারী, জল পরিবেশ ইনিস্টিটিউটের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী ম. ইনামুল হক, বিল বাঁচাও আন্দোলনের সদস্য সচিব খন্দকার আজিজুল হক মনি, ভবদহ অঞ্চলের বাসিন্দা প্রকাশ চন্দ্র ধর প্রমুখ বক্তব্য দেন। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন দৈনিক ইত্তেফাকের যশোর জেলা প্রতিনিধি আহমেদ সাইদ বুলবুল।
আজিজুল হক মনি বলেন, দেশের ৪৩টি জেলায় জলাবদ্ধতা তৈরি হয়েছে। ৯৯টি বিলকে বাঁচালেই ভবদহ বাঁচবে। নইলে এসব এলাকার ১৫ লাখ মানুষ আশ্রয়হীন হবে এবং তাদের বাড়িঘর তলিয়ে যাবে। তিনি বলেন, বাংলাদেশের সার্বিক উন্নয়নের সঙ্গে সংগতি রাখতে বর্তমান সরকার এসডিজি নিয়ে যে কার্যক্রম গ্রহণ ও বাস্তবায়নে কর্মসূচি নিয়েছে সেই লক্ষ্য অর্জনে নদীগুলোসহ জলমহাল দখলমুক্ত ও হাওর-বাঁওড়কে বাঁচাতে হবে।
ইনামুল হক বলেন, দেশের অনেক অঞ্চলের জলাবদ্ধতার মতো ভবদহ অঞ্চলের জলাবদ্ধতা স্থায়ীভাবে নিরসনে প্রয়োজন দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা। নদী সংস্কারের পাশাপাশি খাল-বিল-ও জলাশয়ের লিজ দেওয়া ও অবৈধ ভরাট বন্ধ করতে হবে। প্রদীপ চন্দ্র ধর বলেন, ১৯৮০ সাল থেকে ভবদহ অঞ্চলের সংকট শুরু হয়েছে। এখানকার মানুষ মানবেতর জীবনযাপন করছে। অনেকে এলাকা ছেড়ে পালিয়েছে। শহরমুখী হয়ে ফিরে আসেনি অনেকে। এখানকার স্বাস্থ্যব্যবস্থা ও শিক্ষাব্যবস্থা চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে।
"