নিজস্ব প্রতিবেদক
‘এক দিন না হয় কমই খেলাম’
ঈদের ছুটিতে বাড়ি যাওয়ার আনন্দই আলাদা। কিন্তু এ সময় বাড়ি যাওয়ার জন্য অনেক ঝামেলা পোহাতে হয়। ঈদযাত্রায় রাজধানীর বাসস্ট্যান্ডগুলোয় অনিচ্ছা সত্ত্বেও যাত্রীরা ইফতার করে থাকেন। আর এ সুযোগে বেশি দামে ইফতারসামগ্রী বিক্রিতে মেতে উঠেছেন ব্যবসায়ীরা। বাড়ি যাওয়ার আনন্দের কথা বিবেচনা করে যাত্রীরাও এই দুর্ভোগ মেনে নিচ্ছেন। তবে বাসযাত্রীদের কেউ কেউ এসব দোকান থেকে কিনে নেন হালকা কোনো খাবার, কেউ বাসা থেকে নিয়ে আসেন পথেই ইফতার করার প্রস্তুতি। টার্মিনালে ইফতারের আয়োজন তেমন না থাকায় যাত্রীদের কিছুটা কষ্ট হলেও নাখোশ নন কেউই, বাড়ি ফেরার আনন্দটাই তাদের কাছে মুখ্য। এমনই একজন বগুড়ার কানিজ ফাতেমা শিমু। বললেন, এক দিন না হয় কমই খেলাম। বাড়ি যাওয়ার আনন্দই আলাদা।
রাজধানীর গাবতলী, মহাখালী, সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল ঘুরে দেখা গেছে, এখানকার ভ্রাম্যমাণ ইফতারসামগ্রী বিক্রেতাদের ব্যবসা বেশ ভালো। তাই অনেকে ভ্রাম্যমাণ বিক্রেতাদের কাছ থেকে কিনে দাঁড়িয়েই ইফতার সেরে ফেলেন। তবে এসব বাসস্ট্যান্ডের টার্মিনালে ও আশপাশে থাকা প্রতিটি খাবারের দোকানেও ইফতারসামগ্রী পাওয়া যায়। দোকানগুলোর ইফতারের প্রধান মেন্যু হচ্ছে মুড়ি, ছোলা, পিঁয়াজু, আলুর চপ, জিলাপি, আপেল, মাল্টা, নাশপতি ইত্যাদি। ইফতারির খাবারের স্বাদে বৈচিত্র্য আনার জন্য রয়েছে পেঁয়াজ, মরিচ, টমেটো, শসা, আদা, পুদিনা ও ধনেপাতা কুচি। প্যাকেজ খাবার তো রয়েছেই।
গাবতলী বাসস্ট্যান্ডে ইসমাইল হাওলাদার বলেন, ‘ঈদে বাড়ি যাওয়ার জন্য বাসস্ট্যান্ডে এলাম। এখানেই ইফতার করতে হচ্ছে। টিকিট কিনতে আশা ব্যাংক কর্মকর্তা আবুল হোসেন বলেন, বাধ্য হয়েই প্যাকেটে মোড়ানো ইফতার কিনে নিলাম। মুড়ি, ছোলা, পিঁয়াজু, আলুর চপ, জিলাপি, খেজুর ও একটি আপেল রয়েছে প্যাকেজ বক্সটিতে। দাম রেখেছে ৫০ টাকা। আবার ৩০ টাকা দিয়ে এক বোতল পানি কিনেছি।’ এখানে প্রায় সব যাত্রীর অবস্থা একই রকম।
বাড়ি যাচ্ছেন এমন এক যাত্রী হোসনে আরা বেগম জানান, তার স্বামী একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা। তিনি জানান, নির্দিষ্ট সময়ে বাস না ছাড়ার কারণে বাসস্ট্যান্ডে বসেই ইফতার করতে হচ্ছে।
যাত্রীরা বাসস্ট্যান্ডের হোটেলগুলোয় ও প্যাকেট ইফতারি কিনে ইফতার করলেও কাউন্টারের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শ্রমিকরা প্রতিদিনের মতো এক জায়গায় বসে বিভিন্ন ধরনের ইফতারসামগ্রী একসঙ্গে মেখে ইফতার করতে বসেন। তাদের নিমন্ত্রণে অবশ্য অনেক যাত্রীও তাদের সঙ্গে যোগ দেন।
"