পাঠান সোহাগ

  ১৯ জুন, ২০১৭

ইফতারে উৎসবমুখর কমলাপুর

কমলাপুর রেল স্টেশন মানেই লোকে লোকারণ্য। সব সময় ভিড়। রমজান মাসেও এর ব্যতিক্রম নয়। তবে ইফতারে উৎসবমুখর থাকে দেশের সবচেয়ে বড় এই রেল স্টেশন। স্টেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারী, কুলি, ঘরমুখো মানুষÑ স্টেশনেই তাদের ইফতার ও সেহরির আয়োজন। গতকাল শনিবার স্টেশন ঘুরে দেখা গেছে, যাত্রীরা কেউ একা, কেউ দুই-তিন জন, কেউ বা চার-পাঁচজন মিলে ইফতারের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন। বাইরের খোলা দোকান থেকে ইফতার সামগ্রী কিনছেন। বিশেষ করে ইফতার সামগ্রীর মধ্যে পানি, মুড়ি, বেগুনি, পিয়াজু, ছোলা, জুস বিক্রি হচ্ছে। কেউ কেউ প্যাকেটে করে ইফতার সামগ্রী বিক্রি করছেন। প্রতি প্যাকেট ৪০ থেকে ৮০ টাকা। ছোট পানির বোতল বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকা করে। তবে সব পণ্যের দাম প্রকৃত মূল্যের চেয়ে বেশি।

স্টেশনের দোতলায় বিরতি রেস্তোরাঁয় ইফতারের আয়োজন রয়েছে। স্টেশনের প্রবেশমুখে অস্থায়ীভাবে ইফতারি বিক্রি করছেন তারা। প্যাকেজের পাশাপাশি খোলা ইফতারিও বিক্রি হচ্ছে এখানে। বিরতি রেস্তোরাঁর বিক্রেতা করিম জানান, ইফতার প্যাকেজ ৮০ টাকা করে। প্যাকেজে ছোলা, মুড়ি, বেগুনি, পিয়াজু, জিলাপি, কলা থাকে। প্রতিদিন ৩০০ থেকে ৩৫০ প্যাকেট বিক্রি করেন।

এদিকে, প্যকেট কিনে অনেকেরই অভিযোগ, প্রতারণা করছে বিরতি রেস্তোরাঁ। অভিযোগকারীর একজন আকরাম হোসেন। তিনি বলেন, যে কয়টি আইটেম আছে তার মূল্য ৪০ টাকা হতে পারে, কিন্তু নিচ্ছে ৮০ টাকা। এক পর্যায়ে প্যাকেট খুলে দেখালেন তিনি।

ব্যবসায়িক কাজে সিলেট থেকে আসা রফিকুল ইসলাম বলেন, বাড়ি ফিরছি, ইফতারের অনেক আগেই স্টেশনে এসেছি। গাড়ি ছাড়বে রাত পৌনে নয়টায়। প্ল্যাটফর্মে ইফতার করতে হবে। তবে একা ইফতার কেমন হবে বলতে পারছি না। রেল স্টেশনে আসাদ নামের আরেকজন জানালেন, সন্ধ্যার পরে ট্রেন ছাড়বে। স্টেশনেই ইফতার করতে হবে। পানি, মুড়ি, বেগুনি, পিয়াজু দিয়েই ইফতার করবেন তিনি। যাত্রী আশিক জানান, সবাই অপরিচিত। অনেকে আলাদাভাবে করবেন, তবে আমার ইচ্ছা সবাই মিলে ইফতার করার।

স্টেশন কর্মকর্তা ফয়েজ খান বলেন, যাত্রীদের সুবিধার্থে ট্রেন ছাড়ার ক্ষেত্রে পাঁচ থেকে ১০ মিনিট বেশি বিরতি দেওয়া হচ্ছে। মাইকিং করে জানিয়ে দেওয়া হয় সময়সূচি। যাত্রীরা ইচ্ছে করলে ইফতার সেরে নামাজ পড়ে ট্রেনে উঠতে পারেন। তবে ঢাকার বাইরে থেকে যেসব ট্রেন কমলাপুরে আসে, সেসব ট্রেনের যাত্রীদের কিছুটা বিড়ম্বনায় পড়তে হয় ইফতার কেনার ক্ষেত্রে। তিনি আরো বলেন, ইফতারের ঘণ্টাখানেক আগে থেকে যেসব ট্রেন ছেড়ে যায়; সেগুলোর যাত্রীদের উদ্দেশ্যে মাইকে বলা হয়, ট্রেনে ওঠার আগে ইফতার সংগ্রহ করার জন্য। আন্তনগর ট্রেনগুলোতে যাত্রাবিরতি কম। পথে ইফতার কেনার সুযোগ নেই।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist