নিজস্ব প্রতিবেদক

  ২০ মে, ২০১৭

মেয়র আনিসুলের প্রশ্ন

জনগণের রাস্তায় ‘নো পার্কিং’ কেন

সাধারণ মানুষের রাস্তা উদ্ধার করার দৃঢ় অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করে ঢাকা উত্তর সিটি করপোশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আনিসুল হক প্রশ্ন ছুড়েছেন, ঢাকার জনগণের রাস্তায় অন্য দেশের দূতাবাসের ‘নো পার্কিং’ লেখা সাইন বোর্ড কেন, এটা কি তাদের বাবার রাস্তা? তিনি বলেন, এমন কোনো চিহ্ন দেখতে চাই না। জাস্ট ওয়ান উইক টার্ন। জনগণের রাস্তা, জনগণেরই থাকবে।

গতকাল শুক্রবার বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে ‘ইউআরপি ডে ২০১৭’-এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র এসব কথা বলেন। বুয়েটের নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের শিক্ষার্থীদের সংগঠন ইউএসএবি দিনব্যাপী এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। এ সময় জনসাধারণের চলাচলের রাস্তা থেকে বিভিন্ন বেসরকারি সিকিউরিটি সংস্থার লেখা চিহ্নসমূহ সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেন মেয়র। বলেন, না সরালে অন্যথায় এক সপ্তাহের মধ্যে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

জি-৪ নামে একটি সিকিউরিটি প্রতিষ্ঠানকে উদ্দেশ্য করে আনিসুল হক বলেন, আমাদের রাস্তার ওপর তাদের সাইনবোর্ড লাগিয়ে দিয়েছে। লিখে দিয়েছে নো পার্কিং। এটা কি তাদের বাবার রাস্তা সৌদি দূতাবাসে গিয়ে দেখি সব রাস্তায় ওনারা নো পার্কিং লিখে রেখেছেন। তাদের দেশের রাস্তায় কি এভাবে থাকতে দেবে? তাদের দেশের রাস্তায় কি তাদের নাগরিককে আটকাতে যাবে? আমার দেশে অন্য দেশের দূতাবাস সাধারণ মানুষের রাস্তা দখল করে রেখেছে। এটা মেনে নেওয়া যায় না এবং হতে দেব না। আমরা সাধারণ মানুষের রাস্তা উদ্ধার করবই।

তিনি আরো বলেন, একটি সুন্দর নগরী গড়ার স্বপ্ন নিয়ে মেয়র হয়েছি। অনেক বড় চ্যালেঞ্জ নিয়ে মেয়রকে কাজ করতে হচ্ছে। তিন মাস আগেও বিভিন্ন দেশের দূতাবাসের সামনের ফুটপাত দিয়ে কেউ চলতে পারত না। এখন সেসব ফুটপাত দিয়ে সাধারণ মানুষ মাথা উঁচু করে হাঁটতে পারছে। গরিব হকারদের ফুটপাত থেকে সরিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি অনেক ক্ষমতাবান কোটিপতিদের দখল থেকেও ফুটপাত মুক্ত করেছি। এক ইঞ্চি জায়গাও ছাড় দেওয়া হচ্ছে না। আর গুণগত মানের বিষয়ে আমরা ‘জিরো টলারেন্স’ নিয়ে কাজ করছি। ফলে কদিন পরেই গুলশান অ্যাভিনিউ বিশ্বের যেকোনো উন্নত দেশের অ্যাভিনিউয়ের সমপর্যায়ে উন্নীত হবে।

মেয়র বলেন, রাজধানীর ঠিকাদারিতে অনেক মাস্তান ছিল। তাদের মাস্তানি বন্ধ করেছি। তাদেরকে বলে দিয়েছি, যে রাস্তা করা হচ্ছে, সেগুলোতে কয়েক বছর হাত দেওয়া হবে না।

তিনি আরো বলেন, ২০১৯ সালের জুন মাসের মধ্যে ঢাকা উত্তরের প্রতিটি রাস্তা, ফুটপাত ও নর্দমা নির্মাণ ও সংস্কার, রাস্তার সৌন্দর্যবর্ধন ও সবুজায়ন, এলইডি সড়কবাতি এবং সিসি ক্যামেরা স্থাপনের কাজ শেষ করার লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, একটি স্বপ্নের শহর বিনির্মাণের পরিকল্পনা দেওয়ার দায়িত্ব নগর পরিকল্পনাবিদদের। বাংলাদেশকে সুন্দর করতেও তারাই সবচেয়ে বেশি অবদান রাখতে পারেন।

নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের প্রধান ড. আফসানা হকের সভাপতিত্বে উদ্বোধন পর্বে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা উপাচার্য ড. গোলাম রহমান বক্তব্য দেন। এ সময় বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্সের সভাপতি পরিকল্পনাবিদ ড. এ কে এম আবুল কালাম ও ডিএনসিসির প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমোডর আবদুুর রাজ্জাক উপস্থিত ছিলেন। এ সময় ‘নগর শৈলী’ নামে ইউএসএবি’র বার্ষিক প্রতিবেদনের মোড়ক উন্মোচন করা হয়। উদ্বোধন অনুষ্ঠান শেষে নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনার শিক্ষার্থীরা এক পোস্টার প্রদর্শনীর আয়োজন করে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist