নিজস্ব প্রতিবেদক
তেজগাঁওয়ে কিশোর আজিজ হত্যা
সিনিয়র-জুনিয়র দ্বন্দ্বের বলি
রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ক্রিকেট খেলার সময় সিনিয়র-জুনিয়র দ্বন্দ্বের বলি হলো কিশোর আবদুল আজিজ (১৭)। হত্যাকা-ে জড়িত গ্রেফতার সাইমুন (১৯) মনির (১৭) ও জুয়েলকে (১৬) গতকাল বৃহস্পতিবার কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
গত বুধবার দুপুর ২টার দিকে তেজকুনিপাড়ার খেলাঘর খেলার মাঠে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে আবদুল আজিজ মারা যায়।
সে তেজগাঁওয়ে একটি ওয়ার্কশপে কাজ করত। তার বাবার নাম বশির হোসেন। নরসিংদী জেলার রায়পুরা উপজেলার কুরেরপাড় গ্রামে তাদের বাড়ি। ঘটনার দিন রাতেই আজিজের মা শরিফা বেগম মামলা করেন। গ্রেফতারকৃতরা স্বীকারোক্তি দিতে রাজি হওয়ায় গতকাল বৃহস্পতিবার তাদের আদালতে পাঠানো হয়। আদালত তাদের কারাগারে পাঠান।
তেজগাঁও থানার ওসি মাজহারুল ইসলাম বলেন, এলাকায় সিনিয়র-জুনিয়র দ্বন্দ্ব ও ক্রিকেট খেলা নিয়ে পূর্বশত্রুতা ছিল। গত বুধবার আজিজের বন্ধু মফিজুল প্রতিপক্ষ দলের মনিরকে ছুরি দিয়ে ভয় দেখায়। পরে মনির, সাইমুন ও জুয়েল দুপুরে তেজকুনিপাড়ার খেলাঘর খেলার মাঠে এসে আজিজকে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করে।
এ নিয়ে তাদের কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে সাইমুনকে ছুরিকাঘাত করে আজিজ। এতে সাইমুনের হাত কেটে যায়। আজিজের হাত থেকে ছুরি ছিনিয়ে নিয়ে আজিজের মাথার পেছন দিকে আঘাত করে সাইমুন। আঘাতে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে আজিজ। ছুরিকাহত আজিজকে রনি ও জসিম নামে দুই বন্ধু হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। প্রায় একই সময় মনির ও জুয়েল সাইমুনকে নিয়ে হাসপাতালে নিয়ে যায়।
পরে হাসপাতাল ক্যাম্পের পুলিশ সাইমুন, মনির, জুয়েল এবং নিহত আজিজকে হাসপাতালে নিয়ে দুই বন্ধু রনি ও জসিমকে আটক করে থানায় হস্তান্তর করে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে সাইমুন, মনির ও জুয়েল ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে ও ঘটনার বর্ণনা দেয়। পরে তারা আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিতে রাজি হলে তাদেরকে গতকাল বৃহস্পতিবার আদালতে পাঠানো হয়। এ ছাড়া রনি ও জসিমকে ছেড়ে দেওয়া হয়। ঘটনার দিন রাতেই নিহত আজিজের মা শরিফা বেগম মামলা করেন। মামলায় সাইমুন, মনির ও জুয়েলকে প্রধান আসামি করা হয়।
এদিকে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই দিদার হোসেন বলেন, সাইমুন, মনির ও জুয়েল আজিজ হত্যায় জড়িত থাকার বিষয়ে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। তবে তাদের বয়সের কারণে পৃথক আদালতে হাজির করা হয়। এর মধ্যে জবানবিন্দ দেওয়ার পর সাইমুনকে কারাগারে পাঠানো হয়।
অপর দুজন মনির (১৭) ও জুয়েলকে (১৬) শিশু আদালতে হাজির করা হয়। জবানবন্দি দেওয়ার পর তাদেরকেও কারা হেফাজতে পাঠানো হয়।
"