কোভিড-১৯ চিকিৎসা নিয়ে খুলনাতে যেন বাণিজ্য না হয় এবং বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকগুলো যেন করোনা চিকিৎসা নিয়ে প্রতারণার সুযোগ না পায়; সেদিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখতে প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব (সমন্বয় ও সংস্কার) মো. কামাল হোসেন। গতকাল শনিবার দুপুরে খুলনার জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত জেলা করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধ কমিটির সভায় এ কথা বলেন। জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন সভায় সভাপতিত্ব করেন।

তিনি বলেন, বেসরকারি হাসপাতালগুলোর লাইসেন্স নবায়নসহ সরকারি নিয়মনীতি অনুসরণ করছে কি না, তা নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করতে হবে। সব দফতরের সমন্বয়ে সম্মিলিতভাবে করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে কাজ অব্যাহত রাখলে খুলনায় সংক্রমণের হার কমে আসবে। সভায় জনসাধারণকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা এবং বাইরে বের হলে মাস্ক ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ করতে প্রচারের পাশাপাশি আইনের প্রয়োগ ঘটানো, সরকারি দফতরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের করোনাভাইরাস পরীক্ষা করাতে দফতর প্রধানের প্রত্যয়নপত্র, ঈদুল আজহায় সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কর্মস্থল ত্যাগ না করা, আমদানি হলেই খুলনায় আরো একটি করোনাভাইরাস পরীক্ষার পিসিআর মেশিন এবং কোভিড হাসপাতালে হাইফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলা সরবরাহ করা, প্রয়োজন হলে খুলনা স্বাস্থ্য বিভাগের পরিচালকের দফতর বিভাগের অন্য জেলা-উপজেলা হতে চিকিৎসক ও নার্সদের কোভিড হাসপাতালে পদায়নের ব্যবস্থাকরণ এবং অগ্রাধিকারভিত্তিতে বেশি অসুস্থ রোগীদের দ্রুত করোনাভাইরাস পরীক্ষার রিপোর্ট প্রদান করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। সভায় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন জানান, করোনাভাইরাস সংক্রমণের শুরু থেকে এ পর্যন্ত শুধু স্বাস্থ্যবিধি লঙ্ঘনের দায়ে ১ হাজার ৫১২ জনকে ১৯ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

সিভিল সার্জন ডা. সুজাত আহমেদ জানান, খুলনা সিটি করপোরেশনের ১৭ ও ২৪ নম্বর ওয়ার্ড এবং রূপসার আইচগাতি ইউনিয়নে লকডাউনের ফলে গত দুই সপ্তাহে ওইসব এলাকায় করোনাভাইরাসের সংক্রমণ অনেকাংশে কমে এসেছে। যে কারণে উল্লিখিত এলাকাগুলোকে ‘রেড’ জোন থেকে ‘ইয়েলো’ জোনে নামিয়ে আনা হচ্ছে। সভায় অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) হোসেন আলী খোন্দকার, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার সরদার রকিবুল ইসালম, পুলিশ সুপার এস এম শফিউল্লাহ, খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. মুন্সী মো. রেজা সেকেন্দার, খুলনা মেডিকেল কলেজের উপাধ্যক্ষ ডা. মেহেদী নেওয়াজ, খুলনা স্বাস্থ্য বিভাগের উপপরিচালক ডা. শামীম আরা নাজনীন, খুলনার সিভিল সার্জন ডা. সুজাত আহমেদ, খুলনা আঞ্চলিক তথ্য অফিসের উপপ্রধান তথ্য অফিসার ম. জাভেদ ইকবাল, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান খান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) জিয়াউর রহমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) গোলাম মাঈনউদ্দিন হাসান, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইউসুপ আলী, জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা এসএম আউয়াল হক, খুলনা প্রেস ক্লাবের সভাপতি এসএম নজরুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক মামুন রেজাসহ অন্যান্য সরকারি দফতরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

"