এডিস মশা নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে নগরবাসীকে ডেঙ্গু থেকে সুরক্ষা দিতে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) চিরুনি অভিযান পরিচালনা করেছে। অভিযানের পঞ্চম দিনে গতকাল বুধবার ১৩ হাজার ১১৯টি বাড়ি, স্থাপনা, নির্মাণাধীন ভবন ইত্যাদি পরিদর্শন করে ১০০টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়। এছাড়া ৭ হাজার ৮৮০টি স্থাপনায় এডিস মশা বংশবিস্তার উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। এ সময়ে ২৪টি মামলায় ৩ লাখ ৫১ হাজার ৭০০ টাকা জরিমানা করা হয়।

গতকাল উত্তরা অঞ্চলে (অঞ্চল-১) মোট ৮০৫টি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করে ১১টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেলে ৩টি মামলায় ১২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া ৬৮৫টি স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়।

মিরপুর অঞ্চলে (অঞ্চল-২) ২ হাজার ৭১৭টি স্থাপনা পরিদর্শন করে ১৪টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায় এবং ৩৭৬টি স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। এছাড়া ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ৭টি মামলায় ১ লাখ ৫০ হাজার ৭০০ টাকা জরিমানা করা হয়।

মহাখালী অঞ্চলে (অঞ্চল-৩) মোট ১ হাজার ৬৪৪টি স্থাপনা পরিদর্শন করে ৩৭টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায় এবং ১ হাজার ৯০টি স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। এডিসের লার্ভা পাওয়ায় ৭টি মামলায় ১ লাখ ৪২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

মিরপুর-১০ অঞ্চলে (অঞ্চল-৪) ১ হাজার ৫০৮টি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করে ৪টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়। এছাড়া ৭৬৮টি বাড়ি/স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। এডিসের লার্ভা পাওয়ায় ২টি মামলায় ৭ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

কারওয়ান বাজার অঞ্চলে (অঞ্চল-৫) মোট ২ হাজার ১৮টি বাড়ি/স্থাপনা পরিদর্শন করে ১০টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়। এছাড়া ১ হাজার ৫৯৩টি বাড়ি/স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়।

হরিরামপুর অঞ্চলে (অঞ্চল-৬) ১ হাজার ৪৫৩টি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করে ৭টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়। এছাড়া ১ হাজার ১৮১টি স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। এখানে ২টি মামলায় ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। দক্ষিণখান অঞ্চলে (অঞ্চল-৭) মোট ৯৫৯টি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করে চারটিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেলে বাড়ির মালিকদের সতর্ক করে লার্ভা ধ্বংস করা হয়। এছাড়া ৭২৩ স্থাপনায় এডিসের প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়।

"