নিজস্ব প্রতিবেদক

  ০৭ জুলাই, ২০২০

ডিএনসিসির দ্বিতীয় দফা চিরুনি অভিযান

তৃতীয় দিনে ৮৫টি স্থাপনায় মিলল এডিসের লার্ভা

জরিমানা ২ লাখ ২২ হাজার টাকা

এডিস মশা নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে নগরবাসীকে ডেঙ্গু থেকে সুরক্ষা দিতে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে (ডিএনসিসি) দ্বিতীয় দফা পরিচ্ছন্নতা অভিযান পরিচালনা করেছে। অভিযানের তৃতীয় দিনে মোট ১৩ হাজার ৬৮৮টি বাড়ি, স্থাপনা, নির্মাণাধীন ভবন পরিদর্শন করে মোট ৮৫টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়। এছাড়া ৭ হাজার ৯০৯টি স্থাপনায় এডিস মশা বংশবিস্তার উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। এ সময়ে ১৮টি মামলায় ২ লাখ ২২ হাজার ৮০০ টাকা জরিমানা করা হয়। অন্যান্য বাড়ি ও স্থাপনার মালিককে সতর্ক করা হয়েছে।

উত্তরা অঞ্চল-১ এর অধীনে ১ হাজার ৩০১টি স্থাপনা পরিদর্শন করে ১৪টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়। এছাড়া ১০৪৫টি স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। মিরপুর অঞ্চল-২ এর অধীনে ২ হাজার ৯৪৫টি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করে পাঁচটিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায় এবং ৪৩৩টি স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। এ সময়ে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে তিনটি মামলায় মোট ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। মহাখালী, অঞ্চল-৩ এর অধীনে ১ হাজার ৬৯৯টি স্থাপনা পরিদর্শন করে ৩৪টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায় এবং ১ হাজার ১১৫টি স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। এ সময়ে ২০নং ওয়ার্ডের মহাখালী এলাকায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে ৪টি প্রতিষ্ঠান ও বাড়িকে ৪টি মামলায় ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

মিরপুর ১০, অঞ্চল-৪ এর অধীনে ১ হাজার ৪৯৮টি স্থাপনা পরিদর্শন করে ৩টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেলে বাড়ির মালিকদের সতর্ক করে লার্ভা ধ্বংস করা হয়। এছাড়া ৮২৫টি স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। এ সময়ে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে দুটি মামলায় ১৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। কারওয়ান বাজার, অঞ্চল-৫ এর অধীনে ২ হাজার ৩৩৯টি স্থাপনা পরিদর্শন করে ১০টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়। এছাড়া ১ হাজার ৫১১টি স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। হরিরামপুর, অঞ্চল-৬ এর অধীনে মোট ১ হাজার ৭২৫টি স্থাপনা পরিদর্শন করে ৭টিতে এডিস মশার লার্ভা লার্ভা পাওয়া যায়। এছাড়া ১ হাজার ৩৩৬টি স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়।

দক্ষিণখান অঞ্চল-৭ এর অধীনে মোট ২০২টি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করে একটিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেলে বাড়ির মালিকদের সতর্ক করে লার্ভা ধ্বংস করা হয়। এছাড়া ১৫১টি স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। উত্তরখান অঞ্চল-৮ এর অধীনে মোট ৭১৮টি স্থাপনা পরিদর্শন করে চারটি স্থাপনায় এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায় এবং ৫২১টি স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। এ সময়ে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ৮টি মামলায় ৫ হাজার ৩০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। ভাটারা অঞ্চল-৯ এর অধীনে মোট ৪৮৪টি স্থাপনা পরিদর্শন করে চারটিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়। বাড়ির মালিকদের সতর্ক করে লার্ভা ধ্বংস করা হয়েছে। এছাড়া সেখানে ৩৭৯টি স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। এ সময়ে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে একটি মামলায় ২ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। সাঁতারকুল অঞ্চল-১০ এর অধীনে ৭৭৭টি স্থাপনা পরিদর্শন করে ৩টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেলে বাড়ির মালিকদের সতর্ক করে লার্ভা ধ্বংস করা হয়। এছাড়া ৫৯৩টি স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। উল্লিখিত সব এডিস মশার সম্ভাব্য প্রজননস্থলে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম পরিচালনাপূর্বক কীটনাশক ছিটানো হয়েছে এবং জনসাধারণকে এ বিষয়ে পরবর্তীতে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close