চট্টগ্রামে নতুনভাবে আরাে ১৫৬ জনের শরীরে করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) শনাক্ত হয়েছে। বোয়ালখালীর পর এবার একসঙ্গে বাঁশখালী থানা পুলিশের ছয় সদস্যের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। শুধু বাঁশখালী এ পুলিশ সদস্যেই নয়, আক্রান্ত হয়েছেন নগর পুলিশের এক সদস্যও। শনাক্তদের মধ্যে পুলিশ ছাড়াও রয়েছেন চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মীও।

আক্রান্তদের মধ্যে গত দুই দিনের মতোই শহরের চেয়ে উপজেলাগুলোয় শনাক্তের হার বেশি। যার মধ্যে শুধু বোয়ালখালী উপজেলাতেই শনাক্ত হয়েছে ২৫ জন। নতুন শনাক্ত হওয়া ১৫৬ জনসহ এ পর্যন্ত চট্টগ্রামে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৯৬২ জনে। গতকাল রোববার এ তথ্য নিশ্চিত করেন চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি। চট্টগ্রামের তিন ল্যাব ও কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ল্যাবে মোট ৫২৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। তাতে ১৫৬ জনের ফলাফল পজিটিভ আসে। সবাই চট্টগ্রামের বাসিন্দা। তবে এদের মধ্যে কতজন উপজেলা বা কতজন নগরীর গত রাত ১টা পর্যন্ত এ তথ্য দিতে পারেনি স্বাস্থ্য বিভাগ।

তথ্যমতে, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের (চমেক) ল্যাবে মোট ১১৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। তার মধ্যে ৩৭ জনের ফলাফল পজিটিভ আসে। যাদের মধ্যে চট্টগ্রাম নগরীরই ৩৫ জন বাসিন্দা রয়েছে। তাদের মধ্যে বক্সিরহাট পুলিশ ফাঁড়ির এক পুলিশ সদস্য, চমেকের এক চিকিৎসকও রয়েছেন। রয়েছেন একাধিক স্বাস্থ্যকর্মীও। এ ছাড়া উপজেলায় শনাক্ত হওয়া একজন চন্দনাইশ উপজেলার বাসিন্দা। এ ছাড়া চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি অ্যান্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ^বিদ্যালয়ের (সিভাসু) ল্যাবে ১৫৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। তাতে ৬৫ জনের ফলাফল পজিটিভ আসে। যাদের ৮ জন মহানগরের বাসিন্দা। আর বাকি ৫৭ জনই উপজেলার বাসিন্দা। যাদের মধ্যে চট্টগ্রাম ফিল্ড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন চারজন, পটিয়া উপজেলার ১০ জন, বাঁশখালী উপজেলার ৫ পুলিশসহ ১৪ জন, সীতুকুন্ডের ২, বিআইটিআইডি হাসপাতালের ১, বোয়ালখালীর ২৪ জন এবং মিরসরাই উপজেলার দুজন রয়েছে। আর ফৌজদারহাটের বিআইটিআইডি ল্যাবে ২৩৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। তার মধ্যে ৫২ জনের ফলাফল পজিটিভ আসে। যাদের সবাই চট্টগ্রাম জেলার বাসিন্দা। এর বাইরে কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সাতকানিয়া-লোহাগাড়ার ১৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। তাতে দুজনের ফলাফল পজিটিভ আসে।

মোট আক্রান্ত : ৩ হাজার ৯৬২

সুস্থ : ২৬৭ জন

মৃত্যু : ৯৬ জন

শনাক্ত আরো ১৫৬ জন

"