নিজস্ব প্রতিবেদক

  ২৮ ডিসেম্বর, ২০১৯

শিশু আয়েশাকে হত্যা

ভাড়াটিয়া এনামুলকে খুঁজছে পুলিশ

রাজধানীর ভাটারার বারবিঘা এলাকায় নিখোঁজ হওয়ার পর হাত-পা বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার হওয়া শিশু আয়েশা আক্তারকে (৭) শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসকরা। কী কারণে তাকে হত্যা করা হয়েছে, সে বিষয়ে নিশ্চিত নয় পুলিশ। তবে লাশটি যে ভাড়াটিয়াদের রুম থেকে উদ্ধার করা হয়েছে, ওই রুমের এনামুলসহ কাউকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। পুলিশের ধারণা, ওই ভাড়াটিয়াদের গ্রেফতার করা গেলেই হত্যার কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাবে। এ ঘটনায় গতকাল শুক্রবার নিহতের বাবা ইয়াসিন মুন্সী বাদী হয়ে ভাটারা থানায় একটি হত্যা মামলা করেছেন।

আয়েশার বাবা ইয়াসিন মুন্সী জানান, বুধবার বিকাল থেকে শিশুটি নিখোঁজ ছিল। সন্ধ্যায় তাদের বাসার ভাড়াটিয়া এনামুলের খাটের নিচ থেকে আয়েশার হাত-পা বাঁধা, গলায় কাপড় প্যাঁচানো ও মুখে কাপড় গোঁজা অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। পরে শিশুটিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এক ভাই এক বোনের মধ্যে ছোট আয়েশা গুডনিবাস স্কুলের প্রথম শ্রেণিতে পড়ত। কেন তার নিষ্পাপ মেয়েকে হত্যা করা হলো; সে বিষয়ে কিছু জানাতে পারেননি তিনি।

ভাটারা থানার ওসি মো. মুক্তারুজ্জামান বলেন, ধারণা ছিল ধর্ষণের পর শিশুটিকে হত্যা করা হতে পারে। কিন্তু প্রাথমিকভাবে ধর্ষণের আলামত পাওয়া যায়নি। পূর্বশত্রুতা বা অন্য কোনো কারণও পাওয়া যায়নি। আমরা ওই রুমের ভাড়াটিয়া এনামুলসহ অন্যদের গ্রেফতারের চেষ্টা করছি। তাদের গ্রেফতার করা গেলে মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে জানা যাবে।

পাশাপাশি ধর্ষণের বিষয়টি মেডিকেল রিপোর্ট পাওয়ার পর নিশ্চিতভাবে বলা সম্ভব হবে।

এদিকে, গতকাল নিহত শিশুটির লাশের ময়নাতদন্ত শেষে ঢামেকের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের প্রধান ডা. সোহেল মাহমুদ জানান, শিশুটির গলায় নখের আঁচড়ের চিহ্ন রয়েছে। তার হাত বাঁধা ও মুখেও কিছু ঢোকানোর চিহ্ন রয়েছে। তবে তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে এটি স্পষ্ট। হত্যার আগে শিশুটিকে ধর্ষণ করা হয়েছিল কি না, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। পরীক্ষা করা হচ্ছে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close