চট্টগ্রাম ব্যুরো

  ২৫ ডিসেম্বর, ২০১৯

বাজারে নতুন পেঁয়াজ

তবু নাগালে আসছে না দাম

মিয়ানমার, মিসর, তুরস্ক এবং চীন থেকে নিয়মিত পেঁয়াজ আসছে। চট্টগ্রামের বাজারে এসেছে দেশি নতুন পেঁয়াজ। তবে ব্যবসায়ীরা এতদিন বলে আসছিলেন দেশে উৎপাদিত পেঁয়াজ বাজারে প্রবেশ করলে দাম কমে যাবে। এরই মধ্যে বাজারে দেশি পেঁয়াজের সররবাহ বেড়েছে। কিন্তু দামে কোনো প্রভাব নেই। ভোক্তা পর্যায়ে এখনো পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকায়। অথচ বর্তমানে বাজারে পেঁয়াজের ঘাটতি নেই। আড়তগুলো পেঁয়াজে ঠাসা।

সংশ্লিষ্টরা জানান, বিভিন্ন দেশের আমদানি পেঁয়াজের চালানে উল্লিখিত দামের সঙ্গে বিক্রয় মূল্যের অতিরিক্ত পার্থক্যও স্পষ্ট। এসব বিষয়কে কেন্দ্র করে প্রশাসন অভিযান চালিয়ে জেল জরিমানাও করে। কিন্তু পরবর্তী সময়ে প্রশাসন পেঁয়াজ বাজারে মনিটরিং বন্ধ করে দেয়। পেঁয়াজের বাজার নিয়ে এখন কারো মাথাব্যথা নেই। এই সুযোগে অসাধু ব্যবসায়ীরা ঠিকই অতিরিক্ত মুনাফা করে যাচ্ছেন। ব্যবসায়ীরা নিজেদের মতো দাম হাঁকিয়ে পেঁয়াজ বিক্রি করছেন আমদানিকারকরা।

গতকাল মঙ্গলবার চাক্তাই খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দেশি পেঁয়াজ বাজারে এলেও দামে কোনো প্রভাব নেই। পাইকারিতে মিয়ানমারের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১১০ টাকায়, মিসরের ৯০ টাকা, তুরস্কের ৮০ টাকা এবং চীনের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে কেজিতে ৫০ টাকা দরে। এছাড়া দেশি নতুন পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে কেজিতে ১২০ টাকায়।

খাতুনগঞ্জের হামিদুল্লাহ মিয়া বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইদ্রিস বলেন, চট্টগ্রামের বাজারে দেশি পেঁয়াজ নেই বললেই চলে। বাজারে পেঁয়াজের দাম আগের চেয়ে কমেছে। তবে দেশি পেঁয়াজের সরবরাহ বাড়লে পেঁয়াজের দর আরো কমে আসবে।

ব্যবসায়ীরা জানান, বর্তমানে দেশে তাহেরপুরী, বারি-১ (তাহেরপুরী), বারি-২ (রবি মৌসুম), বারি-৩ (খরিপ মৌসুম), স্থানীয় জাত ও ফরিদপুরী পেঁয়াজ উৎপাদন হয়। ফলে বছরজুড়েই কোনো না কোনো জাতের পেঁয়াজ উৎপাদন হচ্ছে। দেশে বছরে পেঁয়াজের চাহিদা ২২ লাখ টন। এর মধ্যে ১৮ লাখ টন স্থানীয়ভাবে উৎপাদন করা হয়। আর আমদানি করা হয় বাকি ৪ লাখ টন। মূলত এই আমদানিকৃত ৪ লাখ টন পেঁয়াজ বাজারের ওপর খুব বড় প্রভাব ফেলে। এদিকে খুচরা বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, একেক দোকানে একেক দামে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে। মিয়ানমারের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকায়। এছাড়া মিসরের পেঁয়াজ ৯৫ টাকা এবং তুরস্কের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকা দরে। তবে দাম কম রয়েছে চীনা পেঁয়াজের। চীনা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়।

মিজানুর রহমান নামে একজন ভোক্তা জানান, পেঁয়াজ নিয়ে কারসাজির শেষ কখন হবে, এটি আমরা বুঝতে পারছি না। প্রতিদিনই পাইকারি বাজারে পেঁয়াজবাহী ট্রাক প্রবেশ করছে। কিন্তু দাম এখনো চড়া।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close