নিজস্ব প্রতিবেদক

  ০৯ ডিসেম্বর, ২০১৯

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী

সিটি করপোরেশন নির্বাচন যথাসময়ে হবে

সিটি করপোরেশন নির্বাচনের জন্য অনেক আগেই স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। নির্বাচন কমিশন যখন মনে করে তখনই নির্বাচন করতে পারে। তবে কোনো সংশয় নয়, যথাসময়ে সিটি করপোরেশন নির্বাচন হবে। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এই অভিমত ব্যক্ত করেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।

গতকাল রোববার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস ফোরাম অব বাংলাদেশ (আইবিএফবি) আয়োজিত ‘ইজ অব ডুইং বিজনেস : ডিলিং উইথ কনস্ট্রাকশন পারমিট : পারসপেকটিভ বাংলাদেশ’ সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ অভিমত ব্যক্ত করেন।

কাউন্সিলররা যদি পূর্ণ মেয়াদে থাকতে চানÑ সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যদি আইনে থাকে কাউন্সিলররা পূর্ণ মেয়াদে থাকতে পারবেন, তাহলে থাকবেন। আর আইনে না থাকলে পারবেন না।

এর আগে সেমিনারে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেন, গ্রামের মানুষ শহরের দিকে স্থানান্তর হচ্ছে। কেন স্থানান্তর হচ্ছে এর কারণ হলোÑ মানুষ সুযোগ-সুবিধা পেতে চায়, সে জন্য মানুষ শহরের দিকে চলে আসছে। তবে এখন গ্রামকে নিয়ে মাস্টারপ্ল্যান করা হচ্ছে। যোগাযোগ ব্যবস্থা, কৃষিজমির ব্যবহার, বাসাবাড়ি নির্মাণ, বাজার তৈরি, কল-কারখানা নির্মাণসহ সবকিছুর একটা পরিকল্পনা তৈরি করা হচ্ছে। অচিরেই শহরের সুবিধা গ্রামে পৌঁছে যাবে।

তিনি আরো বলেন, প্রথমে কিছু এলাকা নিয়ে চিন্তা করছি। এর মধ্যে লাকসাম-মনোহরগঞ্জ ও বগুড়ার কিছু এলাকা রয়েছে। ইতোমধ্যে বগুড়ার শেরপুর উপজেলার চকপাথালিয়া গ্রামে আইল উঠিয়ে সমবায় ভিত্তিতে চাষাবাদ শুরু হয়েছে। সমবায় ভিত্তিতে চাষাবাদ করলে প্রতি একরে ২৪ হাজার টাকা লাভ হবে। আর আগের পদ্ধতিতে চাষাবাদ করলে প্রতি একরে চার হাজার টাকা লাভ হবে।

ভুটানের উদাহরণ দিয়ে মন্ত্রী বলেন, ভুটানের সংসদ সদস্যরা তিন-চার হাজার লোকের প্রতিনিধিত্ব করেন। আর আমাদের একজন ইউপি মেম্বারও তিন-চার হাজার লোকের প্রতিনিধিত্ব করেন। অথচ তারা বেশি শিক্ষত না। সবাই তাদের চোর, বাটপার বলে। একটা বিষয় হলোÑ শিক্ষিতরা মেম্বার-চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করেন না। সে জন্য আমাদের এ সংকট। শিক্ষিতরা যদি নির্বাচনে আসতেন, তাহলে আরো আগেই প্রতিটি ইউনিয়ন, গ্রামকে পরিকল্পনা করে সাজানো যেত।

আইবিএফবির সভাপতি হুমায়ুন রশিদের সভাপতিত্বে সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সেন্টার ফর আরবান স্টাডিজের সচিব স্থপতি সালমা এ সফি। এতে আরো বক্তব্য দেন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসের (বেসিস) সাবেক সভাপতি হাবিবুল্লাহ এন কারিম, সেন্টার ফর হাউস বিল্ডিং রিসার্স মোহাম্মদ আবু সাদেক।

মোহাম্মদ আবু সাদেক বলেন, অনিয়ন্ত্রিত ভবন রোধ না করলে টেকসই উন্নয়ন (এসডিজি) বাস্তবায়ন সম্ভব নয়।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close