চট্টগ্রাম ব্যুরো

  ১৭ নভেম্বর, ২০১৯

সেবার মান বাড়াতে চমেক হাসপাতালে জনবল নিয়োগ

শিগগিরই চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে জনবল নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। এরই মধ্যে এ সংক্রান্ত একটি চিঠিও মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে চমেক কর্তৃপক্ষ। পাশাপাশি হাসপাতালে আসন সংখ্যা বৃদ্ধি, ডাক্তার বাড়ানো, নিরাপত্তা জোরদার করা, কর্মচারী বাড়ানো, নার্স বাড়ানো এবং মেডিকেলের জায়গার পরিসর বাড়ানোর পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে। প্রতিষ্ঠার (১৯৫৯) পর থেকে চমেক হাসপাতালে রোগীর আসন সংকট (শয্যা), জনবল সংকট, জায়গা সংকট ছিল নিয়মিত সমস্যা। জনবল না থাকায় আউটসোর্সিং মাধ্যমে ১১০ জনের মতো লোক রোগীদের সেবা দিতে কাজ করে যাচ্ছে। হাসপাতালে আগে সিটের সংখ্যা ছিল ৭৫০টি। তখন ৫০০ কর্মচারী দিয়ে সেবার কাজ চালানো হতো। এখন হাসপাতালের আসন সংখ্যা বাড়িয়ে করা হয়েছে ১ হাজার ৩১৩টি। চমেক হাসপাতালের উপপরিচালক আখতারুল ইসলাম বলেন, হাসপাতালের সেবা বৃদ্ধির লক্ষ্যে অনেক পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে আসন সংখ্যা বৃদ্ধি, ডাক্তার বাড়ানো, নিরাপত্তা জোরদার করা, জনবল বাড়ানো, নার্স বাড়ানো এবং মেডিকেলের জায়গার পরিসর বাড়ানো। এ লক্ষ্যে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় পরির্দশন করে ২ হাজার শয্যা করার পরিকল্পনা করেছে। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে জনবল সংকটের পরও আমরা আসনের চেয়ে দ্বিগুণের বেশি রোগীর চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছি। কাউকে আমরা চিকিৎসা না দিয়ে ফিরিয়ে দিচ্ছি না। সূত্রটি জানায়, হাসপাতালে আগে সিট ছিল ৭৫০ সে সময়ও ৫০০ কর্মচারী দিয়ে কাজ চালানো হতো। এখন হাসপাতালের আসন সংখ্যা বাড়িয়ে করা হয়েছে ১ হাজার ৩১৩টি। সেখানে দৈনিক গড়ে ৩ হাজার রোগীর চিকিৎসা দেওয়া হয়। মেডিকেলে স্টাফ, নার্স ও কর্মচারীর সংখ্যা ২ হাজার ৫০০-এর বেশি। তাদের মধ্যে চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী ৪০০-এর বেশি এবং দ্বিতীয় শ্রেণির ১০০-এর বেশি কর্মচারী রয়েছে।

চমেক সূত্রে জানা গেছে, চমেক হাসপাতালে ৫০০ শয্যার অবকাঠামো থাকলেও প্রশাসনিক নির্দেশে ১ হাজার ৩১৩ শয্যার চিকিৎসাসেবার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। প্রতিদিন গড়ে ৩ হাজারের মতো রোগী ভর্তি থাকে হাসপাতালে। সিট খালি না থাকলেও মেঝেতে রেখে চিকিৎসাসেবা দেওয়া হয়। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের উপপরিচালক আখতারুল ইসলাম বলেন, হাসপাতালে পরিচ্ছন্নতাকর্মী, সিকিউরিটি থেকে সব ক্ষেত্রে জনবল বাড়াতে হবে। না হয় সেবার মান আরো খারাপের দিকে যাবে। তা ছাড়া কার্ডিয়াক বিভাগে সিসিউই আউটার বিল্ডিং চালু হলে কোনো ধরনের জনবল নিয়োগ দেওয়া হয়নি।

আখতারুল ইসলাম বলেন, গত কয়েক মাস আগে তৃতীয় থেকে চতুর্থ শ্রেণির ৫০০ জন জনবল নিয়োগের জন্য আবেদন করা হয়েছিল। তার পরিপ্রেক্ষিতে মন্ত্রণালয় জনবল কোন কাজে ব্যবহার করা হবে তাদের বেতনের টাকা কোথায় থেকে আসবে তা জানতে চেয়ে মন্ত্রণালয় চিঠি দিয়েছে। তার জবাব হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কয়েক দিনের মধ্যে পাঠাবে। আশাকরি ৫০০ আবেদনের মধ্যে সাড়ে ৩০০-এর মতো নিয়োগ দিতে পারে। নিয়োগ দিলে কিছুটা হলেও জনবল সংকট কাটবে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close