ঢাবি প্রতিনিধি

  ১৬ অক্টোবর, ২০১৯

ঢাবি শোক দিবসে জগন্নাথ হলের নিহতদের স্মরণ

শোক র‌্যালি ও স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানোর মধ্য দিয়ে সাড়ে তিন দশক আগে জগন্নাথ হলে ভবনের ছাদধসে নিহতদের স্মরণ করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার। ১৯৮৫ সালের ১৫ অক্টোবর এই দিনে জগন্নাথ হলের ভবনের ছাদ ধসে ছাত্র, কর্মচারী ও অতিথিসহ মোট ৩৯ জনের মৃত্যু হয়। এই দিনটিকে প্রতি বছর ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শোক দিবস’ হিসেবে পালন করা হয়।

এ উপলক্ষে গতকাল মঙ্গলবার সকাল ৬টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সব হল, হোস্টেল ও প্রধান ভবনে কালো পতাকা উত্তোলন, বিশ্ববিদ্যালয়ের পতাকা অর্ধনমিত রাখা ও কালোব্যাজ ধারণ করা হয়। সকাল সাড়ে ৭টায় উপাচার্য অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামানের নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অপরাজেয় বাংলার পাদদেশ থেকে শোক র‌্যালি বের করে। তারা জগন্নাথ হল স্মৃতিসৌধে গিয়ে নিহতদের প্রতি ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান ও নীরবতা পালন করেন। সেখানে ছাত্রলীগসহ বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের নেতারাও শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। পরে সেখানে অধ্যাপক আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। তাতে প্রোভিসি (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দীন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল, জগন্নাথ হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মিহির লাল সাহা ও ডাকসুর ভিপি নুরুল হক নুর বক্তব্য দেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার মো. এনামউজ্জামান অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন।

নিহতদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে উপাচার্য বলেন, ‘অসাম্প্রদায়িক চেতনা এবং নৈতিক ও মানবিক মূল্যবোধে উদ্বুদ্ধ হয়ে সেদিন ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সব শ্রেণি-পেশার মানুষ হতাহতদের পাশে দাঁড়িয়েছিল এবং উদ্ধার কাজে অংশ নিয়েছিল। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার গুণগত মান নিশ্চিত করা এবং মাস্টারপ্ল্যানের মাধ্যমে পরিকল্পিতভাবে ভবন নির্মাণ করার কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।

দিবসটিতে হল প্রাঙ্গণে দিনব্যাপী নিহতদের তৈলচিত্র ও তৎসম্পর্কিত দ্রব্যাদি প্রদর্শন এবং রক্তদান কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। এছাড়া নিহতদের আত্মার শান্তির জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদসহ সব হল মসজিদে মোনাজাতের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close