reporterঅনলাইন ডেস্ক
  ১৪ অক্টোবর, ২০১৯

কৃষি এখন অভিজাত পেশা : কৃষিমন্ত্রী

কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আবদুর রাজ্জাক বলেছেন, কৃষি কোনো দিনই সম্মানজনক পেশা ছিল না। অভিজাতরা কৃষককে চাষা বলে গালি দিতেন। এখন দিন বদলেছে, কৃষি এখন অভিজাতদের পেশা। অনেক মেধাবী তরুণ পশ্চিমা দেশে উচ্চ ডিগ্রি নিয়ে কৃষিকাজ করছেন। জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা এবং টেকসই কৃষির লক্ষ্য পূরণে মেধাবী তরুণদের এগিয়ে আসতে হবে। অন্য যেকোনো খাতের চেয়ে দেশে কৃষির সম্ভাবনা অনেক বেশি।

গতকাল রোববার রাজধানীর দিলকুশার কৃষি ভবনে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএডিসি) ৫৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা দানাদার ফসলে স্বয়ংসম্পর্ণ হয়েছি। অনেক ক্ষেত্রে উদ্বৃত্ত থাকে। দেশে এখন কেউ না খেয়ে থাকে না। এখন দেশের কোথাও ছনের ঘর নেই। সব টিনের ও পাকা ঘর হয়ে গেছে। আমরা এখন দেশকে পুষ্টিসম্মত নিরাপদ খাদ্য দেওয়ার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছি। এ জন্য দরকার কৃষির বহুমুখীকরণ, বাণিজ্যিকীকরণ, যান্ত্রিকীকরণ ও আধুনিকায়ন। এতে লাভজনক হবে কৃষি। মানুষের কর্মসংস্থান হবে, আয় বাড়বে। সে আয় দিয়ে মানুষ পুষ্টিমানের খাবার কিনে খেতে পারবে।’

তিনি বলেন, গণবিচ্ছিন্ন স্বৈরাচারী সরকারগুলো কৃষিকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে গিয়েছিল। তারা বিএডিসিকে ভেঙে বেসরকারীকরণের প্রচেষ্টা চালায়। একসময় সারের দাবিতে বুকে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান ১৮ জন কৃষক। অথচ এখন সার কৃষকের হাতের নাগালে। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় না এলে এবং শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী না হলে হয়তো বিএডিসি ভবনও থাকত না।

কৃষিমন্ত্রী আরো বলেন, ভিত্তিবীজের সরবরাহ শতকরা ৬ ভাগ থেকে ২০ ভাগে উন্নীত করেছে বিএডিসি। কৃষির উন্নয়নের জন্য বিএডিসিকে আরো নতুন নতুন কর্মসূচি নিতে হবে। ভুট্টার অপার সম্ভাবনা রয়েছে। ৬০ লাখ টন নয়, আমাদের এক কোটি টন ভুট্টা উৎপাদনের লক্ষ্য নিয়ে এগোতে হবে। পরিকল্পিতভাবে অনেক বড় জায়গা নিয়ে ব্যাপকভাবে ভুট্টা ও গ্রীষ্মকালীন টমেটোসহ অর্থকরী ফসলের চাষ বাড়াতে হবে।

আমাদের নির্বাচনী ইশতেহারের অন্যতম ধারা দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স। এটা ঘর থেকে শুরু করেছি। কেউ জবাবদিহির ঊর্ধ্বে নয়। বিএডিসিকে সম্মানের প্রতিষ্ঠানে পরিণত করতে এক সঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান মন্ত্রী।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে কৃষিসচিব মো. নাসিরুজ্জামান বলেন, আমি বিএডিসির চেয়ারম্যান থাকা অবস্থায় একটি ডায়েরি মেনটেইন করতাম। তার নাম ছিল স্বপ্ন লিপিবদ্ধকরণ ডায়েরি। সেখানে অনেক স্বপ্ন লিপিবদ্ধ করা আছে। যার অনেক স্বপ্ন বাস্তবায়ন হচ্ছে। তিনি বলেন, দেশে কী পরিমাণ বীজের চাহিদা রয়েছে এবং কী পরিমাণ উৎপাদন হচ্ছে, তার একটা গবেষণা দরকার। বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের চেয়ারম্যান মো. সায়েদুল ইসলামের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন কৃষি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য কৃষিবিদ আবদুল মান্নান এমপি, সাবেক কৃষি সচিব ও এপিএ বিশেষজ্ঞ পুলের সদস্য ড. এস এম নাজমুল ইসলাম, মো. আজহারুল ইসলাম ও জাকির হোসেন চৌধুরী প্রমুখ। এর আগে কৃষিমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল, বঙ্গবন্ধু কর্নার ও ইলেকট্রনিক গেট উদ্বোধন করেন। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close