দুই বছর আগে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালের চারতলা ভবনের দুটি ব্লকে রেট্রোফিটিংয়ের কাজ শুরু করে গণপূর্ত বিভাগ। এ দুটি ভবনে আটটি ওয়ার্ড ছিল। কিন্তু এখনো সংস্কারকাজ শেষ না হওয়ায় ব্লক দুটি বুঝে পায়নি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। ফলে অসহনীয় দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন হাজারখানেক রোগী। তবে গণপূর্ত বিভাগ বলছে, যত দ্রুত সম্ভব সংস্কারকাজ শেষে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে বুঝিয়ে দেওয়া হবে।

জানা গেছে, আটটি ওয়ার্ডে রেট্রোফিটিং মেরামত ও সংস্কারকাজের জন্য রোগীদের অন্যত্র সরিয়ে গণপূর্ত বিভাগের কাছে হস্তান্তর করা হয় গত ২০১৮ সালের জানুয়ারি মাসে। চুক্তি মতে, জাইকার টেকনিক্যাল সহায়তায় ৯ কোটি টাকা ব্যয়ে ঠিকাদার খন্দকার শাহীন আহমদ ও নাইমা এন্টারপ্রাইজ জয়েন্ট ভেনচার চলতি ২০১৯ সালের জুন মাসে দুটি ব্লকের কাজ শেষে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করার কথা ছিল। কিন্তু ঠিকাদাররা সময়মতো ব্লক দুটি বুঝিয়ে দিতে পারেনি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে।

অভিযোগ রয়েছে, শুরু থেকেই ধীরগতির কাজের জন্য সময়মতো শেষ হয়নি এই নির্মাণকাজ। ফলে জায়গা সংকটে হাসপাতালের কার্যক্রম চিকিৎসাসেবা ব্যাহত হচ্ছে মারাত্মকভাবে। কাক্সিক্ষত সেবা না পাওয়াসহ দুর্ভোগে পড়ছেন রোগীরা। দুটি ব্লকের আটটি ওয়ার্ড থেকে বের করে আনা এক হাজারের বেশি রোগীর চিকিৎসা নিতে হচ্ছে হাসপাতালের বারান্দায়, মেঝেতে ও সিঁড়ির করিডরে।

জানতে চাইলে গণপূর্ত বিভাগের স্থানীয় নির্বাহী প্রকৌশলী বদরুল আলম বলেন, অবিলম্বে ভবনের কাজ শেষ করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তরের চেষ্টা চলছে।

এদিকে একটি ব্লকের নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে বলে গণপূর্ত বিভাগ দাবি করলেও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, নির্মাণকাজে নানা ত্রুটির কথা। নির্মাণের পর ব্লকের ছাদ দিয়ে বর্ষায় পানি চুইয়ে পড়ার ঘটনা ধরা পড়েছে। এসব ত্রুটি সরানোর পর চলতি সেপ্টেম্বর মাসে ভবনটি বুঝে নিলেও সব কটি ওয়ার্ডে এখনো রোগী স্থানান্তর করতে পারেনি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এ ছাড়া দরজা, জানালা, বাথরুম ফিটিংসসহ টাইলসের কাজ বাকি রয়েছে।

হাসপাতালের উপপরিচালক ডা. লক্ষ্মী নারায়ণ মজুমদার বলেন, ‘ওই দুটি ব্লকে প্রায় ২৫০ রোগীর বিছানার ব্যবস্থা রয়েছে। জুনে কাজ শেষ করার কথা থাকলেও অক্টোবর পর্যন্ত সময় চেয়েছে গণপূর্ত। তবে কাজের যে গতি তাতে মনে হচ্ছে না ডিসেম্বরের আগে স্থানান্তর করতে পারবে।’

"