নিজস্ব প্রতিবেদক

  ১২ অক্টোবর, ২০১৯

বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে আন্তর্জাতিক স্মারকগ্রন্থ প্রকাশ

ভারতের ত্রিপুরার সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক সময়ের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ। মুক্তিযুদ্ধের তীর্থভূমি অরণ্যদুহিতা শ্যামলী ত্রিপুরার সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর সম্পর্ক ছিল অকৃত্রিম। সে সম্পর্কের সূত্র ধরেই আগরতলা থেকে এবার প্রকাশিত হয়েছে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে আন্তর্জাতিক স্মারকগ্রন্থ। গতকাল শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর জাতীয় জাদুঘরে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল এই স্মারকগ্রন্থের প্রকাশনা উৎসব।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী। অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন জাতীয় অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান। স্মারকগ্রন্থ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন স্মারকগ্রন্থের সম্পাদক ড. দেবব্রত দেব রায়।

অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান বলেন, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের শরণার্থী ও মুক্তিযোদ্ধাদের পরম আশ্রয়স্থল ছিল ত্রিপুরা। সেখানে বাংলাদেশ থেকে এত মানুষ তখন গিয়েছিল, যা প্রায় সেখানকার জনসংখ্যার সমান। তবু তাদের সুবিধা দিতে সারা দিনের পর গভীর রাত পর্যন্তও অফিস-আদালত খোলা রাখা হতো। এই শরণার্থীদের জন্য সরকার ত্রিপুরা রাজ্যে আলাদা কর পর্যন্ত চালু করেছিল। যেই ত্রিপুরার সঙ্গে আমাদের এত গভীর সম্পর্ক, সেখান থেকে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে এমন একটি স্মারকগ্রন্থ প্রকাশ করা হবে, এটি মোটেই আশ্চর্যজনক নয়।

ড. গওহর রিজভী বলেন, আগরতলার সঙ্গে বাংলার সম্পর্ক কেউ কোনোদিন ভুলতে পারবে না। মুক্তিযুদ্ধের সময় তারা বাঙালিদের যেভাবে সাহায্য করেছে, তা ধন্যবাদ বা কৃতজ্ঞতায় প্রকাশ করা সম্ভব না। আর স্বাধীনতার এত বছর পরও যে সেই ভালোবাসা তারা এখনো অটুট রেখেছে, এ জন্য তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা।

স্মারকগ্রন্থের সম্পাদক ড. দেবব্রত দেব রায় বলেন, দীর্ঘ একটা সময়ের ফসল এই স্মারকগ্রন্থটি। এটি বঙ্গবন্ধুর প্রতি আমার এবং আমাদের শ্রদ্ধা, ভালোবাসা। এই গ্রন্থে বিভিন্ন দেশের প্রায় ২০০ জন কবি, লেখক, আলোচক, গবেষক বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে তাদের লেখা লিখেছেন। আর ঢাকায় গ্রন্থটির প্রকাশনা উৎসব করতে পারাটা যেন গ্রন্থটির পূর্ণতা এনে দিল।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর সাবেক মুখ্যসচিব ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী, কবি অসীম সাহা, শিশুসাহিত্যিক আনসারুল হক, ত্রিপুরার বিশিষ্ট লেখক ড. আশীষ কুমার বৈদ্য, নিয়তি রায় বর্মণ প্রমুখ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন স্মারকগ্রন্থ প্রকাশনা কমিটির আহ্বায়ক রেজাউল হক চৌধুরী মুশতাক।

এর আগে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য এবং ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন স্মারকগ্রন্থ প্রকাশনা কমিটির ড. শাহাদাৎ হোসেন নিপু এবং ভারতীয় হাইকমিশনের ইন্ধিরা গান্ধী কালচারাল সেন্টারের পরিচালক ড. নীপা চৌধুরী।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close