কুমিল্লার লালমাই-ময়নামতির শালবন বৌদ্ধ বিহার ও ময়নামতি জাদুঘরের সহকারী কাস্টোডিয়ান মো. হাফিজুর রহমানের বিরুদ্ধে সরকারি বাসায় গ্যারেজ বানিয়ে ব্যাটারিচালিত দুটি ইজিবাইকে অবৈধভাবে মাসের পর মাস বিদ্যুৎ ব্যবহারের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে সরকারের দুই লক্ষাধিক টাকার বেশি ক্ষতি হয়েছে।

প্রতœতত্ত্ব অধিদফতরের দায়িত্বশীল সূত্রে জানা যায়, লালমাই-ময়নামতি পাহাড়ের কুমিল্লা কোটবাড়ী শালবন বৌদ্ধ বিহার ও এর পাশে থাকা ময়নামতি যাদুঘরের দক্ষিণ পাশে রয়েছে সহকারী কাস্টোডিয়ান মো. হাফিজুর রহমানের সরকারি বাসভবন। বর্তমানে কুমিল্লায় কর্মরত থাকার সুযোগ নিয়ে বিগত প্রায় দুই বছর আগে স্থানীয়ভাবে পর্যটক বা দর্শনার্থীদের যাতায়াতের জন্য ব্যবসায়ীক উদ্দেশ্যে তিনি ব্যাটারিচালিত দুটি ইজিবাইক ক্রয় করেন। এরপর থেকেই তিনি তার সরকারি বাসায় একটি অবৈধ গ্যারেজ বানিয়ে প্রতিদিন সরকারি বাসার বিদ্যুৎ ব্যবহার করে ইজিবাইক দুটিতে চার্জ দিয়ে আসছেন।

প্রতœতত্ত্ব অধিদফতরের দায়িত্বশীল সূত্র নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, সরকার যেখানে ইজিবাইক চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে, সেখানে একজন সরকারি কর্মকর্তা হয়ে অবৈধ এই বাহনটিকে বাণিজ্যিকভাবে কাজে লাগায়। পাশাপাশি সরকারি জায়গায় গ্যারেজ ও সরকারি বিদ্যুৎ ব্যবহার করে তিনি প্রতি মাসে সরকারি টাকার রাজস্ব ক্ষতি করেছেন। এদিকে গত ৯ সেপ্টেম্বর ভোরে কাস্টোডিয়ান হাফিজ সাংবাদিকরা বিষয়টি জেনে যাওয়ার খবরে দ্রুত ইজিবাইক দুটি সরিয়ে অন্যত্র নিয়ে যায়। স্থানীয় গ্যারেজ সূত্রে জানা যায়, প্রতিদিন ১৫০ টাকায় একটি ইজিবাইকে বিদ্যুৎ চার্জ দিতে হয়। সে হিসাবে দুই বছরে প্রায় ২ লাখ টাকার বিদ্যুৎ ব্যবহার করে ব্যক্তিগতভাবে লাভবান হলেও সরকারিভাবে এই টাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিষয়টি জানতে চাইলে সহকারী কাস্টোডিয়ান হাফিজুর রহমান বলেন, আমি চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের প্রতœতত্ত্ব অধিদফতরের সাবেক আঞ্চলিক পরিচালক লাভলী ইয়াসমিনের অনুমতি নিয়েই এটা করেছি। তবে বর্তমান পরিচালক ড. মো. আতাউর রহমান বিষয়টি অবহিত হয়ে আমাকে নিষেধ করায় গত ৯ সেপ্টেম্বর থেকে ইজিবাইক দুটি অন্যত্র সরিয়ে নিয়েছি।

সরেজমিন ঘুরে পাওয়া তথ্যে দেখা যায়, লাভলী ইয়াসমিন অন্যত্র বদলি হয়েছেন প্রায় দুই বছর হয়ে গেছে। এর মাঝে বর্তমান পরিচালক ড. আতাউর রহমান এখানে প্রায় একই সময় ধরে অবস্থান করছেন।

"