টঙ্গী প্রতিনিধি

  ১০ সেপ্টেম্বর, ২০১৯

টঙ্গীতে আরএফএল কর্মকর্তা হত্যায় গ্রেফতার ৩

টঙ্গীর আরএফএলের কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম (৩৫) হত্যার ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। গত রোববার রাতে টঙ্গীর এরশাদনগর থেকে গ্রেফতার করা হয় আবদুল হক রনি ওরফে বাবু (১৯), মো. সুজন ওরফে শাহজাহান (২১) ও আউয়াল হাওলাদারকে (২৬)। গতকাল সোমবার বাহিনীর মিডিয়া সেন্টারে র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক সারওয়ার বিন কাশেম বলেন, তারা পেশাদার ছিনতাইকারী। তাদের বিরুদ্ধে টঙ্গী থানায় একাধিক ছিনতাই মামলা রয়েছে বলে জানান তিনি।

নিহত কামরুল ইসলাম নওগাঁ সদর উপজেলার আবুল কাশেমের ছেলে। তিনি আরএফএলের আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক হিসেবে সিলেটে দায়িত্ব পালন করছিলেন। অফিশিয়াল মিটিংয়ে যোগ দিতে গত শনিবার ভোরে বাসে করে টঙ্গীতে এসে নামার পরপরই ছিনতাকারীর কবলে পড়েন তিনি। কামরুলের ভাগ্নে বিপ্লব ওই দিন বলেছিলেন, ভোর ৪টার দিটে টঙ্গীর কলেজ গেট এলাকায় বাস থেকে নামার পর ছিনতাইকারীরা তার ব্যাগ ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেওয়া চেষ্টা করে তার মামা বাধা দেন। সে সময় ছিনতাইকারীরা তাকে ছুরি মেরে সব ছিনিয়ে নিয়ে যায়। ঘটনাস্থলেই মারা যান কামরুল। র‌্যাব কর্মকর্তা সারওয়ার বিন কাশেম বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে কামরুলকে ছুরি মেরে মালামাল টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার কথা স্বীকার করেছে গ্রেফতাররা।

গ্রেফতার তিনজনের মধ্যে আবদুল হক আবদুল্লাহপুর-বাড্ডা রুটের একটি বাসের চালক, সুজন তার সহকারী এবং আওয়াল অটোরিকশা চালক। তারা দিনের বেলায় বাস চালালেও রাতে অটোরিকশা নিয়ে ছিনতাই করত বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে। তিনজনের কাছ থেকে একটি ছুরি, ছিনতাইয়ে ব্যবহৃত অটোরিকশা ও কামরুলের মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানান সারওয়ার।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close