বিশেষ প্রতিবেদক, রাজশাহী

  ২৫ আগস্ট, ২০১৯

ঘনঘন ঘটছে সড়ক দুর্ঘটনা

অনিশ্চয়তায় আলুপট্টি-তালাইমারী সড়ক প্রশস্তকরণকাজ

কথা ছিল চলতি বছরের জুলাই মাসের মধ্যেই কাজ শুরু করার। কিন্তু কাজ তো দূরের কথা, ভূমি অধিগ্রহণেরই প্রক্রিয়ায় এখনো শুরু হয়নি। আর প্রকল্পের শর্তানুযায়ী ২০১৫ সালের জানুয়ারিতে কাজ শুরু করে ২০১৭ সালের মধ্যে শেষ করতে হবে। অথচ চার বছরেও রাজশাহী নগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক তালাইমারী থেকে আলুপট্টি রাস্তার প্রশস্তকরণের এই কাজে হাত দেওয়া হচ্ছে না। ফলে ব্যস্ততম এ সড়কটিতে ঘনঘন দুর্ঘটনায় হতাহতের ঘটনা লেগেই থাকছে।

এ বিষয়ে নগরবাসীর অভিমত, পূর্বের মেয়র মোহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুলের সময়ের প্রকল্প হওয়ায় বর্তমান মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন এই কাজটি সম্পন্ন করতে অনিহা দেখাচ্ছেন। একই সঙ্গে রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের বিষয়টি এড়িয়ে নগরবাসীর স্বার্থে সড়কটির প্রশস্তকরণ কাজ করতে বর্তমান মেয়রের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।

জানা গেছে, রাজশাহী নগরীর আলুপট্টি-তালাইমারী সড়কটির প্রশস্তকরণ প্রকল্পটি ২০১৫ সালে একনেকে পাস হয়। ভূমি অধিগ্রহণসহ প্রকল্পটির বাস্তবায়নে ব্যয় ধরা ছিল ১২৭ কোটি ৪৯ লাখ ৫৯ হাজার টাকা। সে সময়ের সিদ্ধান্ত মোতাবেক ২০১৫ সালের জানুয়ারিতে প্রকল্পের কাজ শুরুর কথা থাকলেও অতিবাহিত হয়ে গেছে চারটি বছর। প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য এরই মধ্যে কয়েকবার প্রতিশ্রুতি দিলেও কথা রাখেনি রাজশাহী সিটি করপোরেশন (রাসিক)। তবে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন না হওয়ার পেছনে রাজনৈতিক প্রতিহিংসাকেই দায়ী করছেন নগরবাসী।

রাসিকের সর্বশেষ প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী গত জুলাই মাসে এ সড়কের পাশের ভূমি অধিগ্রহণের প্রক্রিয়া শেষ করে প্রশস্তকরণের কাজ শুরু করার কথা ছিল। কিন্তু এখনো ভূমি অধিগ্রহণের কাজেই হাত দেওয়া হয়নি। ফলে অনিশ্চয়তার দিকে ধাবিত হচ্ছে রাস্তাটির প্রশস্তকরণের কাজ।

বিগত মেয়র মোহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল দায়িত্বে থাকাকালীন সড়কের দক্ষিণ পাশের ফুটপাত তৈরির কাজ শেষ হয়েছে। দেখতে সুন্দর হলেও প্রশস্তকরণ না হওয়ায় সড়কটি আরো সংকুচিত হয়ে গেছে। বর্তমানে এ সড়কে নিরাপদ চলাচলের জন্য প্রশস্তকরণই একমাত্র নির্ভরতা। তালাইমারী-আলুপট্টি সড়ককে নগরীর প্রবেশদ্বার বলা হলেও সড়কটি প্রশস্তকরণ কাজটি ঝুলে রয়েছে। প্রকল্প মতে সড়কটি ফুটপাতসহ ৬৭ ফুট চওড়া হবার কথা। এ সড়কটি প্রশস্ত হলে রাজশাহী নগরীর যোগাযোগের ক্ষেত্রে এক যুগান্তকারী পরিবর্তন সূচিত হবে। সূত্র মতে, ভূমি অধিগ্রহণে দেরি হওয়ায় সড়কটির নির্মাণকাজ শুরু হচ্ছে না। আর দেরি হওয়ার কারণে খরচও বেড়ে যাবে।

এদিকে অপ্রশস্ততার ওপর আঁকাবাঁকা সড়ক যানবাহন ও সাধারণ মানুষের চলাচলকে কষ্টসাধ্য করে তুলেছে। ঘনঘন ঘটছে সড়ক দুর্ঘটনা। এরই মধ্যে হাদির মোড়, কেদুর মোড় ও বাসার রোডে সড়ক দুর্ঘটনায় চারজনের মৃত্যুও হয়েছে। আর যানজটের কারণে স্বাভাবিকভাবে চলাচল করা দায় হয়ে পড়েছে।

সার্বিক বিষয়ে রাসিকের প্রধান প্রকৌশলী আশরাফুল হক বলেন, আগামী মাস থেকে সড়কের পাশের ভূমি অধিগ্রহণের কাজ শুরু হবে। সড়কের আওতার মধ্যে যে সব বাড়িঘর পড়বে তা ভাঙার কাজ শুরু হবে এবং চলতি বছরের মধ্যেই আলুপট্টি-তালাইমারী সড়ক প্রশস্তকরণের কাজ শেষ হবে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close