নিজস্ব প্রতিবেদক

  ০১ জুলাই, ২০১৯

গাড়ি ছিনতাইয়ের জন্য উবারচালককে হত্যা

রাজধানীর উত্তরায় উবারের চালক আরমানকে হত্যার পেছনে উদ্দেশ্য ছিল তার টয়োটা এলিয়ন ব্র্যান্ডের গাড়িটি ছিনতাই করা। আরমান হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার তিনজনের কাছ থেকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এমন তথ্য পাওয়ার কথা জানিয়েছে পুলিশ।

গত ১৩ জুন মধ্যরাতে উত্তরা ১৪নং সেক্টরের ১৬নং সড়কে ৫২নং বাসার সামনে একটি প্রাইভেট কারের ভেতরে ৪০ বছর বয়সি আরমানের লাশ পাওয়া যায়। এই হত্যাকা-ে জড়িত থাকার অভিযোগে গত শনিবার রাতে রাজধানীর বিভিন্ন স্থান থেকে সিজান, শরীফ ও সজীব নামের তিন তরুণকে গ্রেফতার করা হয়। গতকাল রোববার সকালে মিডিয়া সেন্টারে ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার আবদুল বাতেন এসব কথা বলেন। সিজান পেশাদার ছিনতাইকারী। গাড়িটি ছিনতাই করতেই হত্যাকা-টি ঘটেছে।

গ্রেফতারদের কাছ থেকে তথ্যের বরাতে তিনি বলেন, এক ব্যক্তিকে ৮ লাখ টাকায় একটি এলিয়ন গাড়ি ব্যবস্থা করে দেওয়ার চুক্তি হয়েছিল সিজানের। এজন্য গাড়ি ছিনতাইয়ের পরিকল্পনা সফল করতে সে শরিফ ও সজীবকে সহযোগী করে। এজন্য গাড়ি বিক্রির টাকা থেকে তাদের ১ লাখ টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয় সে।

আবদুল বাতেন বলেন, ওই রাতে তারা নিউমার্কেট থেকে দুটি ছুরি কেনে। এরপর সিজান উবারের গাড়ির জন্য রিকোয়েস্ট পাঠানো শুরু করে। এভাবে পাঁচটি রিকোয়েস্ট পাঠালেও একটিও টয়োটা এলিয়ন গাড়ি না হওয়ায় সবগুলো বাতিল করে।

এরপর ষষ্ঠ গাড়ি এলিয়ন হওয়ায় সেটি কনফার্ম করে। ওই গাড়িটিই আরমান চালাচ্ছিলেন জানিয়ে পুলিশ কর্মকর্তা আবদুল বাতেন বলেন, গাড়িটি নিয়ে তারা তিনজন উত্তরার দিকে চলে যায় এবং নির্জন স্থানে গিয়ে আরমানের গলায় ছুরি মেরে হত্যা করে। কিন্তু পরিস্থিতি অনুকূলে না থাকায় তারা গাড়িটি রেখেই পালিয়ে যায়।

এক প্রশ্নে তিনি বলেন, উবার অ্যাপে কবির নামের যে রেজিস্ট্রেশন থেকে সিজান গাড়ি ডেকেছিল সেটিও ভুয়া ছিল। এলিয়ন গাড়ির জন্য যে ব্যক্তির সঙ্গে সিজানের চুক্তি হয়েছে তার ব্যাপারে তথ্য নিতে গ্রেফতারদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তার বিরুদ্ধেও আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান পুলিশ কর্মকর্তা আবদুল বাতেন।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close