নিজস্ব প্রতিবেদক
হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে ডেঙ্গু রোগী
বর্ষা মৌসুমের শুরুতেই লাগামহীন হয়ে উঠেছে ডেঙ্গু। আষাঢ়ের প্রথমে বৃষ্টির পরই রাজধানীতে মিলছে ডেঙ্গুর বাহক এডিসের লার্ভার উপস্থিতি। হাসপাতালগুলোতে প্রতিদিনই বৃদ্ধি পাচ্ছে রোগীর সংখ্যা। জানা গেছে, গত শুক্র-শনিবারের মধ্যেই এ রোগে আক্রান্ত হয়ে ৯১ জন মানুষ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। নগরবাসীর অসাবধানতা আর অসচেতনতাই এর বড় কারণ বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা। বিশেষজ্ঞদের মতে, বাংলাদেশের আবহাওয়া অনুযায়ী জুন-জুলাই ডেঙ্গুর জীবাণুবাহী এডিস মশার প্রজনন মৌসুম। এ সময় থেমে থেমে বৃষ্টির কারণে বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টির পানি জমে যায়। জমে থাকা পরিষ্কার পানিতে এডিস মশার জন্ম হয়। এ বছর জুনের শুরু থেকে রাজধানীতে প্রতিদিন গড়ে সাতজন ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হলেও বর্তমানে সেই সংখ্যা প্রায় ১৪ জনে দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে দুই রোগীর রক্ত পরীক্ষা করে সেরোটাইপ-৩-এর অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। এবার ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে সেরোটাইপ-৩-এর প্রভাব বেশি বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এবার দেশের সামগ্রিক আবহাওয়া ডেঙ্গু যথেষ্ট উপযোগী। এ রোগ থেকে নিজেকে নিরাপদে রাখতে অবশ্যই সচেতন হতে হবে। পাশাপাশি সরকারিভাবে সমীক্ষা চালিয়ে ডেঙ্গুর সেরোটাইপ সম্পর্কে নিশ্চিত হতে হবে। স্বাস্থ্য অধিদফতরের রোগ নিয়ন্ত্রণ বিভাগের সাবেক পরিচালক এবং মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. এ কে এম শামসুজ্জামান জানিয়েছেন, এর আগে বাংলাদেশে ডেঙ্গুর ১ ও ২নং সেরোটাইপের মাধ্যমে সংক্রমণ ঘটলেও গত বছর ৩নং সেরোটাইপের দেখা পাওয়া যায়। সেরোটাইপ সম্পর্কে আগে থেকে জানতে পারলে রোগীদের চিকিৎসায় এবং মৃত্যুঝুঁকি রোধে বিশেষ ভূমিকা রাখা সম্ভব। জানা গেছে, এবারও ডেঙ্গু রোগীদের মধ্যে সেরোটাইপ-৩-এর প্রভাব বেশি। তাই এক্ষেত্রে রোগীদের নিরাপত্তায় সরকারিভাবে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া জরুরি।
"