রংপুর ব্যুরো

  ১৪ জুন, ২০১৯

আধুনিকতার ছোঁয়ায় বদলে গেছে রংপুর সিটি

রংপুর সিটি করপোরেশনে (রসিক) ডিজিটাল নিবন্ধন ও সর্বাধুনিক সুযোগ-সুবিধা সংবলিত দেশের প্রথম আদর্শ নগর স্থায়ী সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচি (ইপিআই) টিকা কেন্দ্র চালু করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে রসিক স্বাস্থ্য বিভাগে ফিতা কেটে উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি রসিক মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা। এই উপলক্ষে নগর ভবন মিলনায়তনে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডাক্তার মোস্তফা খালেদ আহম্মেদ, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ইপিআই কর্মসূচির প্রোগ্রাম ম্যানেজার ডাক্তার মওলা বক্স চৌধুরী, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ডাক্তার রাজেন্দ্র বহরা। এতে সভাপতিত্ব করেন রসিক সচিব রাশেদুল হক। নগরীর প্রত্যেকটি শিশুকে ইপিআই টিকার আওতায় এনে টিকা দানের হার শতভাগে উন্নীত করার অঙ্গীকার করা হয়। এ সময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে রসিক মেয়র বলেন, মা ও নবজাতক শিশুর স্বাস্থ্যসেবার মানোন্নয়নে মডেল হিসেবে সাড়া ফেলেছে এখানকার স্বাস্থ্য বিভাগ। রংপুর সিটি করপোরেশনের জনসচেতনতা বাড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে এখন চলছে উদ্বুদ্ধকরণ প্রণোদনা। প্রযুক্তিনির্ভর আধুনিকতার ছোঁয়ায় বদলে গেছে সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচি (ইপিআই)। ডিজিটালের ছোঁয়া বদলে দিয়েছে বহুদিনের সনাতন পদ্ধতিতে স্বাস্থ্যসেবার প্রক্রিয়া। তিনি আরো বলেন, সুবিধাভোগী গর্ভবতী, নবজাতক, মা ও শিশুর সেবার মান বাড়াতে ও নিয়মিত টিকা গ্রহণে নেওয়া হয়েছে নানা উদ্যোগ। এ ব্যাপারে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা-ডব্লিউএইচও’র রংপুর বিভাগীয় সমন্বয়ক ডা. জুবায়ের আল মামুন প্রতিদিনের সংবাদকে বলেন, টিকাদান প্রক্রিয়াকে আরো গতিশীল ও ঝামেলামুক্ত করতে আমরা এ ধরনের উদ্যোগ নিয়েছি। রংপুর সিটি করপোরেশন এ ধরনের সেবা প্রদানে সারা দেশের মধ্যে মডেল। আগামীতে ইপিআইকে আরো তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর করা হবে।

বৃহস্পতিবার রসিকের স্বাস্থ্য বিভাগে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, আগের মতো নবজাতক শিশুর টিকা গ্রহণ নিয়ে কোনো বিড়ম্বনা নেই। আগের চেয়ে অনেকটা কমে গেছে শিশুদের নিয়ে টিকা দিতে আসা নারীদের কালক্ষেপণের অভিযোগ। তবে সব কিছুতে লেগেছে প্রযুক্তির ছোঁয়া। সব মিলিয়ে আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর ডাটাবেজ তৈরির মাধ্যমে আরো সহজ করা হয়েছে সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচি। সন্তানকে নিয়ে টিকা নিতে আসা আলো মনি আঁখি বলেন, ‘সুন্দর পরিবেশে বাচ্চাকে টিকা দেওয়া হলো। আগের মতো এখন টিকা নিতে এসে বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে না। সবকিছু ডিজিটাল হয়েছে। বাচ্চাকে টিকা দেওয়ার পরপরই একটা এসএমএস ফোনে এসেছে। এটা খুবই ভালো উদ্যোগ। নিয়মিত স্বাস্থ্যকর্মী, চিকিৎসক, জনপ্রতিনিধি, ধর্মীয় ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের মাধ্যমে পাড়া-মহল্লায়, ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় এবং বস্তিতে উঠান বৈঠক ও মা সমাবেশের মাধ্যমে ইপিআইয়ের সেবা গ্রহণে উদ্বুদ্ধ করার পাশাপাশি জনসচেতনতা বাড়ানো হচ্ছে। এছাড়া প্রচার কাজে এখন ডিজিটাল ডিসপ্লে বোর্ড ব্যবহার করা হচ্ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অর্থায়ন ও এটুআই প্রকল্পের আওতায় রংপুর সিটি করপোরেশনই প্রথম এই মডেল সেবা দিচ্ছেন। চলতি বছরের আগস্টে সেবাগ্রহীতা মা ও শিশুর তথ্যসমৃদ্ধ স্বাস্থ্যসেবা অ্যাপস ব্যবহারের সুবিধাও পাবেন নগরবাসী।

রংপুর সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. কামরুজ্জামান ইবনে তাজ প্রতিদিনের সংবাদকে বলেন, সেবা গ্রহণে মা ও শিশুসহ পরিবারগুলো উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। আমরা আধুনিক সুবিধা সংবলিত কার্যক্রম পরিচালনা করছি।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close