সংসদ প্রতিবেদক
কৃষিজমির খাজনা সংশোধনের সুপারিশ
কৃষককে হয়রানি বন্ধ করতে জমির খাজনা রশিদ-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন সংশোধনের সুপারিশ করেছে ভূমি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি। গতকাল মঙ্গলবার সংসদ ভবনে কমিটির বৈঠকে এ সুপারিশ করা হয় বলে কমিটির সভাপতি মকবুল হোসেন জানান।
বৈঠক শেষে তিনি বলেন, কৃষক তার জমির খাজনা দেওয়ার পরও অনেক সময় তহশিলদার বলেন খাজনা দেওয়া হয়নি। এছাড়া এক তহশিলদার চলে যাওয়ার পর অন্য তহশিলদার আবার খাজনা দিতে বলেন। এসব সমস্যা সমাধানের জন্য প্রজ্ঞাপন সংশোধন করতে বলা হয়েছে। মন্ত্রণালয় বিষয়টি পরীক্ষা করে আমাদের জানাবে।
১৯৮৩ সালের ‘ভূমি উন্নয়ন কর নির্ধারণ ও আদায় সম্পর্কে নির্দেশাবলি’ শীর্ষক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে কৃষি জমির কর আদায় করা হয়। পরে সামগ্রিক ভূমি ব্যবস্থাপনার জন্য ১৯৯০ সালে সরকার একটি নির্দেশিকা (ম্যানুয়াল) তৈরি করে। কিন্তু প্রকৃত খাজনা কত তা ভূমি মালিকের পক্ষে নির্ধারণ ও জানার ব্যবস্থা না থাকায় প্রায়ই হয়রানি ও জটিলতার অভিযোগ ওঠে। স্থায়ী কমিটির বৈঠকে ভূমি মন্ত্রণালয়ের মাঠ পর্যায়ের অফিসগুলো মনিটরিং করার জন্য মন্ত্রণালয়কে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে।
কমিটির সভাপতি বলেন, ভূমি অফিসগুলোতে দীর্ঘদিন ধরে অনেক সমস্যা রয়েছে। সেগুলো দূর করার জন্য মন্ত্রণালয় অনেক উদ্যোগ নিয়েছে। আমরাও মন্ত্রণালয়কে এ ব্যাপারে সাহায্য করতে চাই। সেজন্যই স্থানীয় অফিসগুলোতে নজরদারি বাড়াতে বলেছি।
মকবুল হোসেনের সভাপতিত্বে কমিটির সদস্য ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী, হাবিবর রহমান, আনোয়ারুল আজীম (আনার), উম্মে ফাতেমা নাজমা বেগম এবং আমিনুল ইসলাম বৈঠকে অংশ নেন।
"