মহানগর (সিলেট) প্রতিনিধি

  ২৭ এপ্রিল, ২০১৯

সিলেট চেম্বারের নির্বাচন বোর্ড পুনর্গঠন

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী দি সিলেট চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির নির্বাচন বোর্ড ও আপিল বোর্ড পুনর্গঠন করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় চেম্বার কনফারেন্স হলে নতুন দায়িত্বপ্রাপ্তদের হাতে দায়িত্ব হস্তান্তর করা হয়। আজ ২৭ এপ্রিল সিলেটের ব্যবসায়ীদের এই শীর্ষ সংগঠনের নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। তবে ভুয়া ভোটার তালিকার কারণে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় চেম্বারের নির্বাচন স্থগিতের নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে ভোটার তালিকা সংশোধনের পরামর্শ দেওয়া হয়।

নতুনদের দায়িত্ব হস্তান্তর অনুষ্ঠানে সিলেট চেম্বারের সভাপতি খন্দকার সিপার আহমদ বলেন, গত ২১ এপ্রিল ২০১৯ তারিখে অনুষ্ঠিত সিলেট চেম্বারের পরিচালনা পরিষদের জরুরি সভায় নির্বাচনী বিধি অনুযায়ী তিন সদস্যবিশিষ্ট নির্বাচন বোর্ড ও তিন সদস্যবিশিষ্ট আপিল বোর্ড গঠিত হয়েছে। নবগঠিত নির্বাচন ও আপিল বোর্ড সিলেট চেম্বারের ২০১৯-২১ সাল মেয়াদের নির্বাচন সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে আয়োজনে সক্ষম হবেন বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

অনুষ্ঠানে নির্বাচন বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নাসির উদ্দিন খান, সদস্য হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার মো. আশরাফুল হক, অ্যাডভোকেট দিলীপ কুমার কর। আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদ উদ্দিন আহমদ, সদস্য হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার উম্মে সালিক রুমাইয়া ও সিলেট চেম্বারের সাবেক পরিচালক হারুন আল রশীদ দীপু।

উল্লেখ্য, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বর্তমান পরিচালনা পরিষদের মেয়াদ তিন মাস বৃদ্ধি করেছে। সিলেট চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির ৪০ শতাংশ সদস্যই ভুল তথ্য ও জালিয়াতি করে সংগঠনটির ভোটার হয়েছেন বলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এক তদন্তে বলা হয়। আর এই কারণেই বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সিলেট চেম্বারের নির্বাচন স্থগিত করেছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে বলা হয়, গত বছরের ৮ ডিসেম্বর সিলেট চেম্বারের অর্ডিনারি ক্যাটাগরিতে ২৯৩ জন, সহযোগী ক্যাটাগরিতে ১৮৪ জন ব্যবসায়ীকে চেম্বারের সদস্য পদ দেওয়া হয়। এ বছরের ২৬ জানুয়ারি অর্ডিনারি ক্যাটাগরিতে আরো ৪৬৭ জন এবং সহযোগী ক্যাটাগরির ১৮৩ জন ব্যবসায়ীকে সদস্য পদ দেওয়া হয়েছে। দুটি সভায় মোট ১ হাজার ১২৭ জন ব্যবসায়ীকে সদস্য পদ দেওয়ার বিষয়টি অস্বাভাবিককতা প্রমাণ পায় তদন্ত কমিটি।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close