মুহাজিরুল ইসলাম রাহাত, সিলেট

  ২৪ এপ্রিল, ২০১৯

যাত্রী ভোগান্তি চরমে!

উন্নয়নবঞ্চিত কুমারগাঁও বাসস্ট্যান্ড

সিলেট শহরতলির কুমারগাঁও বাসস্ট্যান্ড। এখান থেকে প্রতিদিন গড়ে ২০ থেকে ২২টি বাস পার্শ্ববর্তী জেলা সুনামগঞ্জের উদ্দেশে যাত্রা করে। প্রতিটি বাসে যাত্রী থাকে ৫৫ থেকে ৬০ জন। সে হিসাবে যাতায়াতকারী যাত্রীর সংখ্যা সহস্রাধিক। সুনামগঞ্জ থেকেও একই হারে যাত্রী আসে সিলেটে। বাস ছাড়াও প্রাইভেট কার ও অন্য যানবাহনে যাত্রীরা আসা-যাওয়া করে। অথচ এই স্ট্যান্ডটি এখন ময়লা-আবর্জনার স্তূপে পরিণত হয়েছে।

এতে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে যাতায়াতকারী যাত্রীদের। সামান্য বৃষ্টি হলে কাদাপানি টপকে বাসে চড়তে হয় তাদের। শুধু যাত্রীরাই নয়, পরিবহন শ্রমিকদেরও ময়লা-আবর্জনা ও কাদাপানির জন্য ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। যাত্রীরা বলছেন, সামনে বৃষ্টির মৌসুম। এরই মধ্যে যদি কোনো ব্যবস্থা না নেওয়া হয় তাহলে তাদের ভোগান্তি আরো বাড়বে।

জানা যায়, কুমারগাঁও এলাকাটি সিলেট সদর উপজেলায় পড়েছে। কিন্তু বাসস্ট্যান্ডটি পরিচালনা করে সিলেট সিটি করপোরেশন। সিটি করপোরেশন বলছে কুমারগাঁও বাসস্ট্যান্ডের অবকাঠামো উন্নয়নে কোনো প্রকল্প নেই। তবে ময়লা-আবর্জনা নিষ্কাশন করার সুযোগ রয়েছে। ফলে এই স্ট্যান্ড নিয়ে সিটি করপোরেশন ও উপজেলা প্রশাসনের মধ্যে এক ধরনের টানাপড়েন রয়েছে। মূলত এই দুই কর্তৃপক্ষের খামখেয়ালিতে পড়ে বাসস্ট্যান্ডটি উন্নয়নবঞ্চিত রয়েছে। এ কারণেই বাসস্ট্যান্ডের অবস্থা দিন দিন খারাপ হচ্ছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, সুনামগঞ্জগামী একটি বাসস্ট্যান্ডে দাঁড়িয়ে যাত্রীদের জন্য অপেক্ষা করছে। এ সময় কয়েকজন যাত্রী কাদাপানি ও ময়লা-আবর্জনা পেরিয়ে বাসে উঠলেন। পায়ে লেগে যাওয়া ময়লা-আবর্জনার অস্বস্তি তখনো তাদের চোখেমুখে। এক যাত্রী বলেন, ‘আমি প্রায়ই সিলেট থেকে বাসে করে সুনামগঞ্জে যাওয়া-আসা করি। বাসে এলে এ স্ট্যান্ডে নেমে শহরে যাওয়ার জন্য অটোরিকশা নিতে হয়। অনেক দিন ধরে এ স্ট্যান্ডের সংস্কার নেই। ফলে বৃষ্টি হলেই কাদাপানি জমে স্যাঁতসেঁতে হয়ে যায়। আর ময়লা-আবর্জনা তো আছেই।’

স্থানীয় ব্যবসায়ী কবির মিয়া বলেন, এ স্ট্যান্ড দিয়ে দৈনিক সহস্রাধিক যাত্রী আসা-যাওয়া করলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ উদাসীন। তারা মেরামত কিংবা ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কারে কোনো উদ্যোগই নিচ্ছে না। এতে যাত্রীদের যেমন ভোগান্তি হচ্ছে, স্থানীয় ব্যবসায়ীরাও ভোগান্তি পোহাচ্ছেন।

সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বিধায়ক রায় চৌধুরী প্রতিদিনের সংবাদকে বলেন, কুমারগাঁও বাসস্ট্যান্ডের অবকাঠামো উন্নয়নের আপাতত সিটি করপোরেশনের কোনো প্রকল্প হাতে নেই। তবে ময়লা-আবর্জনা নিষ্কাশন করার সুযোগ রয়েছে। বিষয়টি সিটি করপোরেশনে পরিচ্ছন্নতা অভিযানকালে নজরে আনা হবে। স্ট্যান্ডটি নিয়মিত যাতে পরিচ্ছন্ন রাখা যায়, সে ব্যাপারে সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে যথাযথ উদ্যোগ নেওয়া হবে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close