শেকৃবি প্রতিনিধি

  ২৬ মার্চ, ২০১৯

উদোর পিণ্ডি বুধোর ঘাড়ে

শুধু নামের মিল থাকার কারণে রাজধানীর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শেকৃবি) ক্যাম্পাসে মারধরের ঘটনায় একজনের শাস্তির খড়গ গিয়ে পড়েছে আরেকজনের ঘাড়ে। ঘটনার সঙ্গে কোনোরূপ সম্পর্ক এবং স্থান-কালে মিল না থেকেও ছয় মাসের জন্য বহিষ্কার হয়েছেন শেকৃবির কৃষি অনুষদের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ফাহিম।

জানা যায়, গত মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়টির নবাব সিরাজ-উদ-দৌলা হলের গণরুমের আসন ভাগাভাগি নিয়ে গভীর রাতে শেকৃবি শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান ও যুগ্ম সাধারণ স¤পাদক রুদ্র নাথ টোটন অনুসারীদের মধ্য কয়েক দফা সংঘর্ষ হয়। এতে ময়মনসিংহ অঞ্চলের মিজান গ্রুপের দুজন অনুসারী আহত হয়। এ ঘটনায় সেদিন রাতেই হল প্রভোস্ট ও ভারপ্রাপ্ত প্রক্টরের নেতৃত্বে একটি টিম কুমিল্লা অঞ্চলের টোটন গ্রুপের ফাহিম নামের এক শিক্ষার্থীকে বহিষ্কারের সুপারিশ করে। পরবর্তীতে যা বিশ্ববিদ্যালয়টির শৃঙ্খলা বোর্ডের এক জরুরি মিটিংয়ে পাস হয়। কিন্তু দেখা যায় অভিযুক্ত শিক্ষার্থী কুমিল্লা অঞ্চলের ফাহিমের বদলে বহিষ্কার করা হয়েছে কুষ্টিয়া অঞ্চলের ফাহিম নামের প্রথম বর্ষের অন্য এক শিক্ষার্থীকে। যিনি হলেই থাকেন না। এ বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর ড. মো. মিজানুর রহমানের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ বিষয়ে তথ্য দিতে অপারগার কথা জানান। এদিকে, ভুক্তভোগী ফাহিম প্রতিদিনের সংবাদকে বলেন, আমি ঘটনার কিছুই জানি না। হল থেকে আমাকে ফোন করে বিষয়টি জানানো হয়। আমি এই বিষয়ে রেজিস্ট্রার স্যারের সঙ্গে কথা বলেছি। দরখাস্তও দিয়েছি। তিনি দেখবেন বলেছেন। বিশ্ববিদ্যায়টির রেজিস্ট্রার রেজাউল করিম প্রতিদিনের সংবাদকে বলেন, আমরা এ বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি এবং তা প্রক্টরকে জানানো হয়েছে তারা বিষয়টি খতিয়ে দেখে আমাদের জানাবেন।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close