সেখ জিয়াউল হক, রাজশাহী

  ০৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯

উপজেলা পরিষদ নির্বাচন

রাজশাহীতে আ.লীগের প্রার্থিতায় থাকছে চমক

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে তিনজনের প্যানেল তৈরি করে কেন্দ্রে পাঠানোর নির্দেশনা দিয়েছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। ৩১ জানুয়ারির মধ্যে তালিকা কেন্দ্রে পাঠানোর দিন থাকলেও তা তিন দিন বাড়ানো হয়েছে। ফলে ৩ ফেব্রুয়ারির মধ্যে সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থীদের তালিকা আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বোর্ডে কাছে পাঠাতে হবে জেলার নেতাদের।

কেন্দ্রের নির্দেশনা অনুযায়ী আওয়ামী লীগের উপজেলা কমিটি বর্ধিত সভা করে একটি তালিকা জেলা কমিটির কাছে জমা দেবে। জেলা কমিটি সেটি যাচাই বাছাই করে তিনজনের প্যানেল তৈরি করবে। তবে বিশেষ ক্ষেত্রে জেলার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক যদি মনে করেন তিনজনের অতিরিক্ত নামের তালিকায় পাঠাতে পারেন।

জেলা আওয়ামী লীগের সূত্র মতে, কেন্দ্রীয় নির্দেশনা অনুযায়ী রাজশাহীর ৯টি উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপ্রত্যাশীদের তালিকা তৈরি করা হয়েছে। সেই তালিকায় ৫০ জনের বেশি মনোনয়নপ্রত্যাশীর নাম থাকছে। গতকাল রোববার এ তালিকা নিয়ে জেলা নেতারা রাজধানীর উদ্দেশে রওনা হয়েছেন। তবে কে দলীয় মনোনয়ন পাচ্ছেন বা কি চমক থাকছে উপজেলার প্রার্থিতায় সেদিকে তাকিয়ে আছেন নেতাকর্মীরা।

জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, কেন্দ্রের নির্দেশনা অনুযায়ী উপজেলা থেকে তিনজনের প্যানেল পাঠানোর কথা। কিন্তু তারা সেটি পারেননি। সবার নাম কেন্দ্রে জমা দেওয়া হবে। কেন্দ্র যাচাই-বাছাই করে প্রার্থী চূড়ান্ত করবে।

সর্বশেষ ২০১৪ সালে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সে নির্বাচনে দলীয় প্রতীক না থাকলেও দলের সমর্থন নিতে হয়েছে প্রার্থীদের। সেবার জেলার গোদাগাড়ীতে এ কে এম আসাদুজ্জামান আসাদ, তানোরে গোলাম রাব্বানী, পবায় মুনসুর রহমান, মোহনপুরে আবদুস সালাম, বাগমারায় জাকিরুল ইসলাম সান্টু, দুর্গাপুরে নজরুল ইসলাম, পুঠিয়ায় প্রথমে আহসানুল হক মাসুদ ও পরে শাহরিয়ার রহিম কনক, চারঘাটে ফখরুল ইসলাম ও বাঘায় আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী ছিলেন আজিজুল আলম। এদের মধ্যে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন বাগমারায় জাকিরুল ইসলাম সান্টু ও দুর্গাপুরে নজরুল ইসলাম। পরাজিত হন সাত উপজেলায় আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা।

রাজশাহীর ৯টি উপজেলায় মনোনয়ন পাওয়ার দৌড়ে যারা এগিয়ে বা আলোচনায় রয়েছেন তারা হলেন গোদাগাড়ীতে সাবেক চেয়ারম্যান আতাউর রহমান খান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বদিউজ্জামান, জেলার সাংগঠনিক সম্পাদক এ কে এম আসাদুজ্জামান আসাদ। তানোরে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল মামুন, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি লুৎফর রহমান ময়না, পবায় আওয়ামী লীগ নেতা মুনছুর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক ফারুক হোসেন ডাবলু, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের সদস্য এমদাদুল হক। মোহনপুরে উপজেলার সভাপতি অ্যাভোকেট আবদুল সালাম, জেলার সাংগঠনিক সম্পাদক আলফোর রহমান। বাগমারায় জাকিরুল ইসলাম সান্টু ও জেলার সহ-সভাপতি অনিল কুমার সরকার, দুর্গাপুরে বর্তমান চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম, সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল মজিদ। পুঠিয়ায় জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহসানুল হক মাসুদ, স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় নেতা ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আবদুস সামাদ, সাবেক ছাত্রনেতা গোলাম ফারুক। চারঘাটে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ফকরুল ইসলাম একক প্রার্থী হলেও বাঘায় আলোচনায় রয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক লায়েব উদ্দিন লাভলু, বাঘা পৌরসভার সাবেক মেয়র আক্কাস আলী ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বাবুল হোসেন।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close