খুলনা ব্যুরো

  ২০ জানুয়ারি, ২০১৯

‘কোচিং না করলে শিক্ষকরা বাসায় চলে আসেন’

খুলনায় রঙিন সাজে ভরে উঠেছে নতুন কোচিং-বাণিজ্য

কোচিং বাণিজ্য বন্ধসহ পাঠ্যপুস্তকের কারিকুলাম পরিবর্তন, প্রশ্নফাঁস রোধ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অতিরিক্ত অর্থ আদায়, শিক্ষা প্রশাসন আরও কার্যকর করার নির্দেশ দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। এদিকে খুলনা মহানগরীতে পুরাতন কোচিংয়ের পাশাপাশি ভরে উঠেছে নতুন কোচিং সেন্টার। কোচিং শিক্ষকদের পাশাপাশি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত শিক্ষকদের কোচিংও কম নয়। বিষয়টি নিয়ে তেমন মাথাব্যথা নেই শিক্ষা বিভাগের।

জানা গেছে, গত সোমবার সচিবালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চবিভাগের আট উইং প্রধানদের সঙ্গে সার্বিক কার্যক্রম পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির পাশাপাশি শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলও উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে খুলনায় নতুন বছরের শুরু থেকে পুরাতন কোচিং সেন্টারের পাশাপাশি নতুন করে গড়ে উঠেছে ভুইফোঁড়ের মতো কোচিং সেন্টার। শিক্ষার্থী সংখ্যা বেশি না থাকলেও শিক্ষাদানের জন্য বাহারি পদ্ধতির কথা বলছেন পরিচালকরা। অনেক কোচিং সেন্টারের পরিচালকরা কর্মসংস্থান হিসেবে গ্রহণ করেছেন এ বাণিজ্য। সেখানে কর্মরত থাকেন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীরা। তারাই ক্লাস নেন কোচিং সেন্টারে ভায়া (প্রাইভেট শিক্ষক) শিক্ষক হয়ে। খুলনায় কোচিং সেন্টার অ্যাসোসিয়েশনের মতে দেড় থেকে দুইশ’ কোচিং সেন্টার রয়েছে। ধীরে ধীরে ব্যাঙের ছাতার মতো বাড়ছে এর সংখ্যা। শিক্ষকরা তাদের প্যানায় ব্যবহার করছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নাম থেকে শুরু করে শিক্ষা ও পরীক্ষা সংশ্লিষ্ট পদবিও। যাতে আকৃষ্ট হয় শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরাও।

মহানগরীর দোলখোলা মোড়, মৌলভীপাড়া, বাইতিপাড়া, মির্জাপুর, সামছুর রহমান সড়কসহ অন্যান্য স্থানে নতুন নতুন কোচিং গড়ে উঠতে দেখা গেছে। একাডেমিক পাঠদানের পাশাপাশি সৃজনশীল আধুনিক পদ্ধতিতে পাঠদানের প্রস্তাবও দেওয়া হচ্ছে।

খুলনা জিলা স্কুলের এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক আকবার আলী বলেন, কোচিং ব্যবসায়ও এখন প্রতিযোগিতা বাড়ছে। প্রত্যেক কোচিং নতুন নতুন অফার দেয়। মোটেও না হলে অভিভাবকদের কোচিং সেন্টারে ঘুরে গিয়ে ভর্তি হতে বলেন। সরকারি ইকবালনগর বালিকা বিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক স্নেহা বেগম বলেন, কোচিং না করলে এক পর্যায়ে শিক্ষকরা বাসায় চলে আসেন। অভিভাবককে না বুঝাতে পারলে তারা তখন শিক্ষার্থীকে বোঝানো শুরু করে। মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের এক অভিভাবক জসীম উদ্দিন বলেন, কোচিং না করলে শিক্ষকরা ক্লাসে ভালোভাবে দেখেন না। তাই অনেকটা বাধ্য হয়ে কোচিং করা লাগে। তবে তিনি শিক্ষামন্ত্রীর উদ্যোগকে স্বাগত জানান।

খুলনা কোচিং সেন্টার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ও শিক্ষাসাগর কোচিংয়ের পরিচালক শ্যামল কুমার রায় বলেন, নতুন নতুন কোচিং যে যার মতো গড়ে তুলছেন। খুলনা মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের উপপরিচালক নিভা রানী পাঠক বিষয়টি নিয়ে প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলার জন্য বলেন। এর দায়িত্ব প্রশাসনের বলেও জানান তিনি।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close