বিশেষ প্রতিবেদক, রাজশাহী

  ১৬ জানুয়ারি, ২০১৯

কৌশলে যুবককে অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবি

রাজশাহীতে কিশোর ছিনতাইকারী চক্রের ৬ সদস্য আটক

বন্ধু পরিচয়ে তুলে নিয়ে গিয়ে মুক্তিপণের সম্পূর্ণ টাকা আদায়ের আগেই কিশোর বয়সের ছিনতাইকারী চক্রের ছয় সদস্যকে আটক করেছে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ (আরএমপি)। আটককৃতদের কাছ থেকে তিনটি মোবাইল ও মুক্তিপণের টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় মহানগরীর এয়ারপোর্ট থানাধীন চন্দ্রপুকুর এলাকার মৃত কাজিমুদ্দিনের ছেলে নাজিম উদ্দিন বাদী হয়ে শাহমখদুম থানায় একটি মামলা করেছেন। গতকাল মঙ্গলবার আরএমপি সদর দপ্তরে প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে এ তথ্য জানিয়েছেন পুলিশ কমিশনার একেএম হাফিজ আক্তার। প্রেস ব্রিফিং শেষে আটককৃতদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়।

আটককৃতরা হলেনÑ রাজশাহী মহানগরীর শাহমখদুম থানাধীন রায়পাড়া বড় বনগ্রাম এলাকায় বসবাসরত নাটোর জেলার বাগাতিপাড়া থানাধীন মিস্ত্রিপাড়া এলাকার আব্দুল মতিনের ছেলে রাজু আহমেদ, মহানগরীর শাহমখদুম থানাধীন উত্তর নওদাপাড়া এলাকার জার্জিস আলমের ছেলে জামিল হোসেন টুটুল, বোয়ালিয়া থানাধীন সপুরা ছয়ঘাটি এলাকার আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে বিজয়, শাহ্্ মখদুম থানাধীন মধ্য নওদাপাড়া এলাকার মৃত রমজান আলীর ছেলে রায়হান ইসলাম, একই থানাধীন নওদাপাড়া এলাকার নাদিম হোসেনের ছেলে উল্লাস হোসেন জুবেল ও বড় বনগ্রাম রায়পাড়া এলাকার মোজাম্মেল হকের ছেলে তানভির আহমেদ অনিক।

প্রেস ব্রিফিংকালে ঘটনার বিবরণীতে পুলিশ কমিশনার এ কে এম হাফিজ আক্তার বলেন, মামলার বাদীর ছেলে ফায়সাল আহমেদকে সোমবার দুুপুর আনুমানিক আড়াইটার দিকে আসামি উল্লাস হোসেন জুবেল বন্ধুর পরিচয় দিয়ে জরুরি কথা আছে বলে মহানগরীর শাহমখদুম থানাধীন নওদাপাড়ায় শফিক ইংলিশ প্যালেস প্রাইভেট সেন্টারের সামনে ডেকে নিয়ে যায়। এরপর আসামি উল্লাস হোসেন জুবেল তানভির কৌশলে ভিকটিম ফায়সাল আহমেদকে নওদাপড়া বালিকা বিদ্যালয়ের পেছনে গিয়াসের নির্মাণাধীন তৃতীয়তলা ভবনের দ্বিতীয়তলায় নিয়ে গিয়ে আটক করে রাখে। এরপর জুবেল ও তানভিরসহ মামলার অন্যান্য আসামিরা মুক্তিপণের দাবিতে ভিকটিমকে লাঠি দিয়ে এলোপাতাড়ি মারধর করে। পরে মেরে ফেলার ভয় দেখিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে ভিকটিমের বাবার কাছে ফোন করিয়ে মোবাইল ব্যাংকিং বিকাশের মাধ্যমে তিন হাজার টাকা নেয়। এ সময় ভিকটিমের চিৎকারে স্থানীয় লোকজন ও শাহমখদুম থানা পুলিশ সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে দুজনকে আটক করলেও অন্যরা পালিয়ে যায়। পরে আটক ওই দুজনের স্বীকারক্তি অনুযায়ী অন্যদের আটক করা হয়। আটককৃতরা চিহ্নিত অপহরণ ও ছিনতাই চক্রের সক্রিয় সদস্য। সংঘবদ্ধ চক্রের মাধ্যমে তারা রিকশা, অটোরিকশায় থাকা যাত্রীদের কাছ থেকে ব্যাগ, মোবাইল ও স্বর্ণালংকার ছিনতাই ও বিভিন্ন কৌশলে অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায় করত বলেও আটককৃতরা পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close