চট্টগ্রাম ব্যুরো

  ০৮ জানুয়ারি, ২০১৯

চট্টগ্রামে আইনজীবীর স্ত্রী হত্যা ৫ মাসেও খুলেনি রহস্যের জট

চট্টগ্রামে আইনজীবীর অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী রহিমা হত্যার ৫মাস অতিবাহিত হলেও এখনো পর্যন্ত খুনের রহস্য উদঘাটন করতে পারেনি পুলিশ। ঘটনার ৫মাস অতিবাহিত হলেও কোন আসামীকে গ্রেফতার না পারায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন নিহত রহিমা মা বিদুরা বেগম। তিনি জানান, আমার পরিবার আমার মেয়ে হত্যার বিচারের অপেক্ষায় আছে। দ্রুত আসামীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনারও দাবী জানান তিনি। এ ঘটনায় রহিমার স্বামী এডভোকেট এহতেশামুল পারভেজ সিদ্দিকী জুয়েল জড়িত থাকতে পারে দাবী করেন বিদুরা বেগম।

এ বিষয়ে নিহতের স্বামী এডভোকেট এহতেশামুল পারভেজ সিদ্দিকী জুয়েল থেকে জানতে চাইলে তিনি ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করে প্রতিদিনের সংবাদকে বলেন, আমার স্ত্রী ছিল ঘরের লক্ষী। সে সব সময় আমার দেখভাল করতো। আমাদের মাঝে কখনো কোন বিষয় নিয়ে ঝগড়াও পর্যন্ত হয়নি। আমাদের দু’জনের মাঝে সুÑসম্পর্ক ছিল। আমি এ ঘটনার সুষ্ট তদন্তের দাবী জানাচ্ছি। চট্টগ্রাম আইনজীবী সমিতির সভাপতি শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী এ বিষয়ে প্রতিদিনের সংবাদকে জানান, ঘটনার এতদিন পরেও হত্যাকান্ডের কোন ক্লু উদঘাটন না হওয়া দু:খজনক। ঘটনার সাথে যারা জড়িত অনতিবিলম্বের আইনের আওতায় এসে দৃষ্টন্তমূলক শাস্তির দাবী জানাচ্ছি। ঘটনাটি নিয়ে দু:খ প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ মানাবাধিকার কমিশনের ডেপুটি গর্ভনর আমিনুল হক বাবু। আমরা আশা করবো দ্রুত গতিতে আসামী কে চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হওক।

চট্টগ্রাম নগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (উত্তর) কামরুজ্জামান বলেন, মামলার তদন্ত চলছে। আমরা চেষ্টা করছি দ্রুত যাতে এ হত্যার রহস্য উদঘাটন করা যায়। আশা করি শীঘ্রই হত্যাকান্ডের রহস্য উম্মোচন করতে পারব।

উল্লেখ্য: গত বছরের আগস্টে নগরীর চান্দগাঁও থানার ফরিদাপাড়ার নিজ বাড়িতে আইনজীবী এহতেশামুল পারভেজ সিদ্দিকী জুয়েলের স্ত্রী বিবি রহিমা (২৬) কে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয় । এ সময় তিনি চারমাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। ঘটনার সময় রহিমার সঙ্গে তার ৩ বছর বয়সী শিশু হৃদি ছিল। মাকে হত্যার পুরো ঘটনার একমাত্র প্রত্যক্ষদর্শী মেয়ে হৃদি। সে বর্তমানে বাবার কাছে রয়েছে। ঘটনার পর নিহত মরিয়মের মা বিদুরা বেগম বাদী হয়ে নগরীর চান্দগাঁও থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। সে সময় পারিবারিক দ্বন্ধ সম্পত্তি ও ব্যক্তিগত বিরোধ-এ তিন বিষয়কে সামনে রেখে পুলিশ তদন্ত শুরু করছিল। দীর্ঘদিন তাতে কোনো রহস্য উদঘাটন না হওয়ায় পরবর্তীতে নগর গোয়েন্দা বিভাগকে দেওয়া হয় মামলার তদন্তভার।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close