যথাযথ মর্যাদা ও উৎসাহ উদ্দীপনার সঙ্গে মহান বিজয় দিবস-২০১৮ উদযাপনের লক্ষ্যে রাজশাহী জেলা প্রশাসন দুই দিনব্যাপী ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। কর্মসূচি অনুযায়ি ১৫ তারিখ সকালে নগরীর ভদ্রার ‘স্মৃতি অম্লান’ থেকে এক বর্ণাঢ্য বিজয় র‌্যালী বের করা হবে। এরপর র‌্যালীটি স্বচ্ছ টাওয়ার হয়ে রেলস্টেশন এবং কাশিয়াডাঙ্গা মোড় হয়ে জেলা শিল্পকলা একাডেমীতে এসে শেষ হবে। ওইদিন সকালে শিশু একাডেমীতে শিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, দেশাত্মবোধক গান ও কবিতা আবৃত্তি অনুষ্ঠিত হবে। ইসলামিক ফাউন্ডেশনে আলোচনা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, ইসলামী গান, কবিতা আবৃত্তি ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে। সকালে জেলা শিল্পকলা একাডেমীতে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা ও রক্তদান কর্মসূচির আয়োজন করা হবে। বিকেলে শিল্পকলা একাডেমিতে আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে।

মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে ১৬ ডিসেম্বর দিবসের সূচনা লগ্নে ৩১বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসের শুভ সূচনা করা হবে। সূর্যোদয়ের সাথে সাথে শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে পুস্পস্তবক অর্পণ করা হবে। একই সময়ে সকল সরকারি, আধা সরকারি ও বেসরকারি ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে। এরপর সকাল নয়টায় মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি স্টেডিয়ামে রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করবেন। এ সময় জেলা সদরের বীর মুক্তিযোদ্ধা, পুলিশ, আনসার-ভিডিপি, বিএনসিসি, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স এবং বিভিন্ন শিক্ষা ও সামাজিক প্রতিষ্ঠান, শিশু কিশোর সংগঠন, কারারক্ষী, বাংলাদেশ স্কাউট, রোভার স্কাউট ও গালর্স গাইড এর অংশ গ্রহণে বর্ণাঢ্য কুচকাওয়াজের অভিবাদন গ্রহণ করবেন বিভাগীয় কমিশনার।

ওই দিন সকালে কামারুজ্জামান চত্বরে আলোকচিত্র প্রদর্শন করা হবে। প্রবেশ মূল্য ছাড়া সকাল-সন্ধ্যা পর্যন্ত যাদুঘর, পার্ক, চিড়িয়াখানা সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। এদিন হাসপাতাল, জেলখানা, সরকারি শিশু সদন, শিশু নিবাস, অন্ধ, মুক ও বধির বিদ্যালয়, সেফ হোম, এস ও এস শিশু পল্লী, শিশু বিকাশ কেন্দ্র এবং বেসরকারি এতিমখানায় উন্নতমানের খাবার পরিবেশন করা হবে। জাতির শান্তি, সমৃদ্ধি ও অগ্রগতি কামনা করে মসজিদসমূহে মোনাজাত এবং অন্যান্য উপাসনালয়ে সুবিধামত সময়ে প্রার্থনা করা হবে। জনবহুল মোড়সমূহে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক প্রামাণ্য চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হবে। বিকেলে রিভারভিউ কালেক্টরেট স্কুল মাঠে আলোচনা সভা ও মহিলাদের ক্রীড়ানুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে।

একই সময়ে মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি স্টেডিয়ামে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ একাদশ বনাম জেলা ক্রীড়া সংস্থা একাদশ এবং মেয়র একাদশ বনাম বিভাগীয় কমিশনার একাদশ প্রীতি ফুটবল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। সন্ধ্যায় সিটি কর্পোরেশনের গ্রীন প্লাজায় খেতাব প্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা, আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত হবে। উভয় দিন সন্ধ্যা হতে নগরীর গুরুত্বপূর্ণ ভবনসমূহে আলোক সজ্জা করা হবে। এছাড়াও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন, রাজশাহী বিশ^বিদ্যালয়, রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয় এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠনসমূহ পৃথক পৃথক কর্মসূচি পালন করবে বলে বৃহস্পতিবার নিশ্চিত করেছেন তথ্যবিবরণী।

"