নিজস্ব প্রতিবেদক

  ২০ নভেম্বর, ২০১৮

নির্বাচনে সংশয় কাটাতে ইসির ভূমিকা চায় সুজন

দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন হতে চলেছে বিধায় তা ‘সুষ্ঠু’ হবে কি নাÑ এ বিষয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার। তিনি বলেছেন, ‘যেহেতু দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন হতে যাচ্ছে তাই সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভোট হওয়া নিয়ে সংশয় তো আছেই, সবারই সংশয় আছে। তবে আমরা চাই নির্বাচন কমিশন (ইসি) সঠিকভাবে দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে একটি সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন উপহার দেবে। না হলে তরুণ সমাজ গণতন্ত্রের প্রতি আস্থা হারাবে।’

আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ‘সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও গ্রহণযোগ্য করার আহ্বানে’ গতকাল সোমবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে সুজনের সংবাদ সম্মেলনে এ সংশয়ের কথা বলেন ড. বদিউল। লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সুজনের সমন্বয়কারী দিলীপ সরকার।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সুজন সম্পাদক বলেন, ‘আমরা সবাই চাই একটা সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হোক। সংশয় যেন অমূলক হয় সেজন্যই আমরা নির্বাচন কমিশনকে সঠিকভাবে দায়িত্ব পালনের আহ্বান করছি। আশা করব, নির্বাচন কমিশন তার দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করবে, কঠোরভাবে পালন করবে। নির্বাচন কমিশনের হাত অনেক লম্বা। তারা চাইলে আইনের সঠিক প্রয়োগের মাধ্যমে সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দেওয়া সম্ভব।’

একাদশ সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হতে প্রায় ১২ হাজারের মতো মনোনয়নপ্রত্যাশী স্ব স্ব দল থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। এবার যোগ্য প্রার্থী পাওয়া যাবে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে ড. বদিউল বলেন, ‘অবশ্যই। প্রার্থীর সংখ্যা যত বেশি হবে, ততই যোগ্য প্রার্থী পাওয়ার সম্ভাবনা বাড়বে। আমরা নিশ্চিত ১২ হাজারের মধ্য থেকে ৩০০ আসনে হাজার খানেক যোগ্য প্রার্থী পাব। তবে দলগুলোর প্রতি আহ্বান যারা অবাঞ্ছিত তারা যেন মনোনয়ন না পান। এই নির্বাচনটা সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হওয়া অত্যন্ত জরুরি। যদি বিতর্কিত নির্বাচন হয় তাহলে তরুণরা আশাহত হতে পারেন, বিপথগামী হতে পারেন এবং গণতন্ত্রের প্রতি আস্থাহীন হয়ে যেতে পারেন। সেজন্যই এই নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই নির্বাচন কমিশনের অধীনেই সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব। তবে সেক্ষেত্রে অবশ্যই তাদের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করতে হবে।’

সুজন সম্পাদক আরো বলেন, ‘অতীতের রেকর্ড দেখলে প্রতীয়মান হবে যে দলীয় সরকারের অধীনে যখনই কোনো নির্বাচন হয়েছে তাতে ক্ষমতাসীনরাই আবার বিজয়ী হয়েছেন। যেহেতু সংসদ বহাল আছে, তাছাড়া অনেক সংসদ সদস্যই স্থানীয়ভাবে সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করেন। তাই তারা যেন ভোটের ফল অযাচিতভাবে প্রভাবিত না করতে পারেন সেজন্য ইসিকে সঠিক ভূমিকা রাখতে হবে।’

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে দিলীপ কুমার সরকার বলেন, ‘সম্প্রতি কিছু নির্বাচনে প্রশাসন তথা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ভূমিকা ছিল প্রশ্নবিদ্ধ। দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন হওয়ায় প্রশাসন তথা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রভাবিত হওয়ার ঝুঁকি আরো বেড়েছে। তাই এ ব্যাপারে নির্বাচন কমিশনকে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close