নিজস্ব প্রতিবেদক

  ১৯ নভেম্বর, ২০১৮

ব্যয় সাশ্রয়ী সড়ক নির্মাণের উদ্যোগ

ব্যয় সাশ্রয়ী সড়ক নেটওয়ার্ক নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এর অংশ হিসেবে ‘গোবিন্দগঞ্জ-ছাতক-দোয়ারা বাজার সড়কে বিদ্যমান ৯টি সরু ও জরাজীর্ণ সেতুর স্থানে ৯টি আরসিসি পিসি গার্ডার সেতু নির্মাণ’ প্রকল্প হাতে নিচ্ছে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়।

প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে গোবিন্দগঞ্জ-ছাতক-দোয়ারাবাজার সড়কে আগে নির্মিত ছয়টি সরু এবং ক্ষতিগ্রস্ত কংক্রিটের সেতু পুনর্নির্মাণ এবং অস্থায়ীভাবে নির্মিত তিনটি সরু ও ক্ষতিগ্রস্ত বেইলি সেতুর স্থলে স্থায়ী কংক্রিটের সেতু নির্মাণ করা হবে। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে খরচ হবে ১১১ কোটি ৭৭ লাখ টাকা।

পরিকল্পনা কমিশনের একাধিক কর্মকর্তা জানান, প্রস্তাব পাওয়ার পর অনুমোদন প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে গত ১ জুলাই প্রকল্পটি ওপর প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির (পিইসি) সভা হয়েছে। ওই সভায় দেওয়া সুপারিশগুলো প্রতিপালন করায় এটি জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে অনুমোদনের সুপারিশ দেওয়া হয়। অনুমোদন পেলে চলতি বছর থেকে ২০২১ সালের জুনের মধ্যে এটি বাস্তবায়ন করবে সড়ক ও জনপথ অধিদফতর। সড়কটির মোট দৈর্ঘ্য ২৭ কিলোমিটার। সড়কটি দোয়ারা বাজার উপজেলার সঙ্গে সিলেট ও সারা দেশের যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম। সড়কটিতে সব মিলিয়ে ১৩টি সেতু রয়েছে। তার মধ্যে সুরমা নদীর ছাতক প্রান্তে ১০টি এবং দোয়ারাবাজার প্রান্তে রয়েছে ৩টি সেতু। ছাতক প্রান্তের ১০টি সেতুর মধ্যে ৬টি কংক্রিটের এবং সেতুগুলো পুরনো ও ক্ষতিগ্রস্ত। অপর প্রান্তের ৩টি বেইলি সেতু ঝুঁকির মুখে। বাকি সেতুগুলো ১০ থেকে ১২ বছর আগে নির্মিত হয়েছে তাই মজবুত রয়েছে। এই ৯টি সেতু নির্মাণের জন্য সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ থেকে ১০৩ কোটি ৭৯ লাখ ২০ হাজার টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে চলতি বছরের জুলাই থেকে ২০২১ সালের জুনে এই প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য প্রস্তাব করা হয়। পুনর্গঠিত ডিপিপির প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছে ১১১ কোটি ৭৭ লাখ টাকা। প্রকল্পের প্রধান কার্যক্রমগুলো হচ্ছে, এক লাখ ঘন মিটার মাটির কাজ, ২ দশমিক ৪৯ কিলোমিটার ফ্ল্যাক্সিবল পেভমেন্ট নির্মাণ, ৯৮০ মিটার ডাইভারশন সড়ক নির্মাণ, ২৭৯ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দুই লেন বিশিষ্ট ৭টি সেতু নির্মাণ, চার লেন বিশিষ্ট ১২৭ দশমিক ৫৮ মিটার সেতু নির্মাণ। এ বিষয়ে পরিকল্পনা কমিশনের ভৌত অবকাঠামো বিভাগের সদস্য সুবীর কিশোর চৌধুরী বলেন, প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে সুনামগঞ্জ জেলার ছাতক ও দোয়ারাবাজার উপজেলার সঙ্গে সুনামগঞ্জ জেলাসহ ঢাকার নিরাপদ ও উন্নত সড়ক যোগাযোগ স্থাপিত হবে এবং জনগণের আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নতি হবে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close