নিজস্ব প্রতিবেদক

  ১৮ নভেম্বর, ২০১৮

কওমিতে প্রযুক্তিনির্ভর কারিকুলামের সুপারিশ

দেশের কওমি ও আলিয়া মাদ্্রাসার শিক্ষার্থীদের জন্য তথ্যপ্রযুক্তিনির্ভর যুগোপযোগী কারিকুলাম প্রণয়নের সুপারিশ করেছে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। ইউজিসির বার্ষিক প্রতিবেদনে প্রথমবারের মতো কওমি ধারার শিক্ষার্থীদের কর্মসংস্থানের জন্যও উদ্যোগ নিতে সুপারিশ করা হয়েছে। দেশের সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর নিয়ন্ত্রক সংস্থা ইউজিসি সম্প্রতি বার্ষিক প্রতিবেদন তৈরি করে রাষ্ট্রপতির কাছে পেশ করেছে। এই প্রতিবেদনে সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়াও উচ্চশিক্ষার জন্য বেশ কিছু সুপারিশ করেছে। কওমি ধারার শিক্ষার বিষয়টিও এসেছে ইউজিসির প্রতিবেদনে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে গত ১৩ আগস্ট মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে ‘কওমি মাদরাসাগুলোর দাওরায়ে হাদিসের (তাকমিল) সনদকে মাস্টার্স ডিগ্রি (ইসলামিক স্ট্যাডিজ ও আরবি) সমমান প্রদান আইন, ২০১৮’ অনুমোদন দেওয়া হয়।

কওমি মাদ্্রাসার প্রায় ১৫ লাখ শিক্ষার্থীকে মূল ধারায় নিয়ে আসতে কওমি মাদ্্রাসাগুলোর দাওরায়ে হাদিস সনদকে মাস্টার্স ডিগ্রি সমমান দেওয়া হয়।

এই স্বীকৃতির জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘কওমি জননী’ উপাধি দিয়েছেন কওমি মাদ্্রাসাগুলোর সর্বোচ্চ সংস্থা ‘আল-হাইয়াতুল উলিয়া লিল জামিআতিল কওমিয়া বাংলাদেশ’। গত ৪ নভেম্বর রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সংগঠনের উদ্যোগে আয়োজিত ‘শুকরানা মাহফিলে’ এ উপাধি দেওয়া হয়। সংস্থাটির চেয়ারম্যান ও হেফাজতে ইসলামের আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফীর সভাপতিত্বে ওই সমাবেশে কয়েক হাজার কওমি মাদ্্রাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থী অংশ নেন। হেফাজতে ইসলামের সঙ্গে আওয়ামী লীগ সরকারের সুসম্পর্কের আলোচনার মধ্যে উচ্চশিক্ষার নিয়ন্ত্রক সংস্থা ইউজিসিও কওমি শিক্ষার আধুনিকায়নের বিষয়টি নজরে এনেছে। ইউজিসির প্রতিবেদনের সুপারিশে বলা হয়েছে, উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে বিশেষ করে কওমি ও আলিয়া মাদ্্রাসার শিক্ষার্থীদের জন্য তথ্যপ্রযুক্তিনির্ভর যুগোপযোগী কারিকুলাম প্রণয়ন করতে হবে। ‘দেশের কওমি ও আলিয়া মাদ্্রাসার শিক্ষার্থীদের সংখ্যা বিপুল। এমতাবস্থায় আরবি বিশ্ববিদ্যালয় বা মাদ্্রাসার উচ্চশিক্ষা গ্রহণকারীদের কর্মসংস্থানের জন্য সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে মধ্যপ্রাচ্যসহ অন্য দেশে কাজের সুযোগ-সুবিধা সৃষ্টি করা যেতে পারে।’ এর আগে গত বছরের ১৩ এপ্রিল কওমি সনদের স্বীকৃতি দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

এরপর গত ৪ মার্চ একসঙ্গে ১ হাজার ১০ জন কওমি আলেমকে সরকারি চাকরিতে নিয়োগ দেয় সরকার। ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাস্তবায়নাধীন মসজিদভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম (ষষ্ঠপর্যায়) প্রকল্পের দারুল আরকাম ইবতেদায়ি মাদ্্রাসায় কওমি নেসাবের শিক্ষক হিসেবে তারা যোগ দেন।

দেশের ইতিহাসে একসঙ্গে এত কওমি আলেমের সরকারি চাকরিতে যোগ দেওয়ার ঘটনা সেটাই প্রথম বলে ইসলামিক ফাউন্ডেশন জানিয়েছিল।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close