জবি প্রতিনিধি

  ০৯ নভেম্বর, ২০১৮

জবির মেডিকেল সেন্টার

১৯ হাজার শিক্ষার্থীর জন্য একজন চিকিৎসক

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ১৯ হাজার শিক্ষার্থীর বিপরীতে রয়েছেন একজন ডাক্তার। জবি মেডিকেল সেন্টারের একমাত্র এই চিকিৎসককে দিয়েই চলছে চিকিৎসা সেবা। বিশ্ববিদ্যালয়টি অনাবাসিক হওয়ায় ঢাকার বিভিন্ন জায়গায় মেস ভাড়া নিয়ে থাকতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের। অনেক শিক্ষার্থী সর্দি, জ্বর, ডায়রিয়া, জন্ডিসসহ নানা রোগে আক্রান্ত হলেও মেডিকেল সেন্টারের খবরই জানে না। যারা জানে তারাও সেখানে সাধারণত যায় না। আর গেলে হতাশ হয়ে ফিরে আসতে হয়। অভিযোগ রয়েছে, মেডিকেল সেন্টারটিতে মাথাব্যথা, জ্বর ও ডায়রিয়ার ওষুধ ছাড়া কিছুই পাওয়া যায় না।

এদিকে মেডিকেল সেন্টারটির জন্য বছরে মাত্র ২ লাখ টাকা বাজেট বরাদ্দ। প্রতি শিক্ষার্থীর জন্য মাত্র ১০ টাকা। ইতিহাস বিভাগের সাকিব বলেন, ‘আজ জ্বর, মাথাব্যথা নিয়ে মেডিকেল সেন্টারে যাই, ম্যাডাম হাতে কয়েকটা ট্যাবলেট দিয়ে প্রেসক্রিপশন লিখে বাইরে থেকে ওষুধ কিনে খেতে বলেছেন।’ সরেজমিন মেডিকেল সেন্টারে গিয়ে দেখা যায়, দিন দিন মেডিকেল সেন্টারটির পরিসর ছোট হয়ে আসছে। আগে তিনটি কক্ষ থাকলেও এখন একটি কক্ষেই চিকিৎসার কাজ সারতে হচ্ছে। প্রাথমিক চিকিৎসার দরকারি সরঞ্জামই মেডিকেল সেন্টারটিতে নেই। কক্ষটির একপাশে রোগীদের জন্য একটি শয্যা, বিপরীত পাশে একজন চিকিৎসক ও তার সহকারীর বসার জায়গা, ওষুধ রাখার জন্য একটি আলমারি ও একটি রেফ্রিজারেটর। সরঞ্জামাদির মধ্যে রয়েছে একটি করে ওজন ও প্রেসার মাপার যন্ত্র, একটি শয্যা ও একটি অ্যাম্বুলেন্স।

এ বিষয়ে ওই মেডিকেল সেন্টারের চিকিৎসক ডা. মিতা শবনম বলেন, জবি মেডিকেল সেন্টারে বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী চিকিৎসা সেবা নিতে আসেন। একার পক্ষে সামাল দেওয়া দুঃসাধ্য। তবুও সাধ্য অনুযায়ী কাজ করে চলেছি।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান বলেন, মেডিকেল সেন্টার করার মতো পর্যাপ্ত জায়গা নেই। তবে কেরানীগঞ্জে আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য জমি ক্রয় করেছি। সেখানে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য যা যা দরকার তার সবকিছু করা হবে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close