নিজস্ব প্রতিবেদক

  ০৮ নভেম্বর, ২০১৮

‘পাঠাও’ সার্ভিসকে আইনি নোটিশ

ভাড়া নিয়ে অনিয়ম ও প্রতারণার অভিযোগে অ্যাপস-ভিত্তিক মোটরবাইক ও গাড়ি রাইড সার্ভিস সেবা প্রদানকারী ‘পাঠাও লিমিটেড’কে লিগ্যাল (আইনি) নোটিশ পাঠানো হয়েছে। রাজধানীর পশ্চিম শেওড়াপাড়ার শামীম সরণির বাসিন্দা মো. আফজাল হোসেনের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী তানজিম আল ইসলাম গতকাল বুধবার ওই নোটিস পাঠান।

নোটিসে কোনো ক্ষমতা বা আইন অনুযায়ী, পাঠাও সেবার ভাড়া কীভাবে নির্ধারণ করা হচ্ছে তা আগামী তিন দিনের মধ্যে পাঠাও লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হোসেন এম ইলিয়াস এবং প্রধান প্রযুক্তি কর্মকর্তা সিফাত আদনানকে জানাতে বলা হয়েছে। অন্যথায় ভোক্তা অধিকার আইন ও ফৌজদারি আইনে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ-সংক্রান্ত চিঠি বুধবার রেজিস্ট্রি ডাকযোগে পাঠানো হয়।

নোটিসে উল্লেখ করা হয়েছে, একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলে কর্মরত আফজাল হোসেন পাঠাওয়ের অ্যাপে বাইকে করে বাংলামোটর থেকে শেওড়াপাড়া যাওয়ার তথ্য দিলে তাকে ডিসকাউন্ট বাদ দিয়ে ১০৫ টাকা ভাড়া দেখানো হয়। কিন্তু গন্তব্যস্থলে যাওয়ার পর চালক তার কাছে ১৭৩ টাকা দাবি করেন। আফজাল বাধ্য হয়ে তা পরিশোধ করেন। কিছুদিন পরে আবার এ রকম ঘটনা ঘটে। ১২১ টাকা নিশ্চিত করে রোকেয়া সরণি থেকে বাংলামোটর বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়কে যাওয়ার পর চালক ১৪৯ টাকা দাবি করেন। সেদিনও বাধ্য হয়ে বাড়তি ভাড়া পরিশোধ করতে হয়। লিগ্যাল নোটিসে বলা হয়, পাঠাও নিয়মিতভাবে তাদের চালকদের দিয়ে যাত্রীদের এই কৌশলে হেনস্তা করে বেআইনিভাবে বাড়তি ভাড়া হাতিয়ে নিচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। নোটিসপ্রাপ্তির তিন দিনের মধ্যে যথাযথ ক্ষতিপূরণ দেওয়ার পাশাপাশি চালকদের ‘অন্যায় দাবির বিষয়ে’ পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে।

আফজাল হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, পাঠাওয়ের নির্ধারিত রুটে একেক সময় একেক ভাড়া প্রদর্শন করে। রাস্তায় যানজট না থাকার পরও বাড়তি ভাড়া গুনতে হচ্ছে। বিভিন্ন সময়ে যাতায়াতে কেন বেশি ভাড়া এসেছে, কোনো চালকই তার সদুত্তর দিতে পারেনি। এ কারণে তার মনে হয়েছে ভাড়া নির্ধারণে এক ধরনের কারচুপি হচ্ছে, যা ভোক্তার সঙ্গে প্রতারণা।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close