‘দেশের বাস্তবতা তাদের যান্ত্রিক দিকে এগিয়ে যেতে বাধ্য করেছে। ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহারে ভোটের ফল যেমন দ্রুত ঘোষণা করা যাবে, তেমনি এই মেশিন ভোট গ্রহণকারী কর্মকর্তাদের স্বাচ্ছন্দ্য এনে দেবে। একজনের ভোট অন্যজন দেওয়ার কোনো সুযোগ পাবে না। রাজনৈতিক দল, প্রার্থী এবং ভোটারদের কথা চিন্তা করে ইভিএমের ব্যবহার করা হবে। কিন্তু আপনারা যদি এটাকে গ্রহণযোগ্য না বলেন, তাহলে ব্যবহার করা হবে না। তবে ইভিএমে কোনো ত্রুটি প্রমাণ করতে পারলে যন্ত্রটি প্রত্যাহার করা হবে।’ গতকাল শনিবার রাজশাহীর নির্বাচন অফিস চত্বরে আয়োজিত ইভিএম প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) রফিকুল ইসলাম।

তিনি বলেন, ‘বৃক্ষসম্পদ রক্ষা ও কাগজের ব্যবহার কমাতে ইভিএম ব্যবহারের এই উদ্যোগ। এর মধ্য দিয়ে ভোট ডাকাতি, ছিনতাই পুরোপুরি ঠেকানো সম্ভব হবে। আপনারা পরীক্ষা করে দেখুন, ইভিএমের সঙ্গে ইন্টারনেট সংযুক্ত না। তাই এটি হ্যাক করা যাবে না। আগে থেকে ভোট দিয়ে রাখার কোনো সুযোগ নেই।’

রাজশাহীর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আলমগীর কবিরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার আমিনুল ইসলাম, রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ (আরএমপি) কমিশনার এ কে এম হাফিজ আক্তার, পুলিশের অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক নিশারুল আরিফ ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আতিয়ার রহমান। স্বাগত বক্তব্য দেন রাজশাহী আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা সৈয়দ আমিরুল ইসলাম। উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে অতিথিরা ইভিএম প্রদর্শনী ঘুরে দেখেন। রাজশাহী আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ের চত্বরে আয়োজিত এই প্রদর্শনীতে ৬টি বুথে ইভিএম মেশিনে ডেমো ভোট গ্রহণের ব্যবস্থা করা হয়। সেখানে সাধারণ মানুষ ও জনপ্রতিনিধিরা তাদের স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র ইভিএম মেশিনে ঢুকিয়ে এবং আঙুলের ছাপ দিয়ে ভোট দেওয়ার পদ্ধতি শেখেন।

"