নিজস্ব প্রতিবেদক

  ২৪ অক্টোবর, ২০১৮

ঢাকা-সিলেট ফোর লেন প্রকল্পের অনুমোদন

শিল্প ও বাণিজ্য গতিশীল করতে এশিয়ান হাইওয়ে নেটওয়ার্ক জোরদারের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এর অংশ হিসেবে ‘সাপোর্ট টু ঢাকা (কাঁচপুর)-সিলেট-তামাবিল মহাসড়ক ফোর লেনে উন্নীতকরণ এবং উভয় পাশে পৃথক সার্ভিস লেন নির্মাণ’ নামে প্রকল্পটির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। প্রকল্প এলাকায় ভূমি অধিগ্রহণ ও ইউটিলিটি স্থানান্তর করা হবে। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে বিমসটেক করিডোর, সার্ক করিডোরসহ আঞ্চলিক সড়ক নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ ত্বরান্বিত হবে। ভবিষ্যতে উপ-আঞ্চলিক সড়ক নেটওয়ার্ক গড়ে তোলার জন্য মহাসড়কের উভয় পাশে পৃথক সার্ভিস লেনসহ চার লেনে উন্নীতকরণ প্রকল্প বাস্তবায়ন ত্বরান্বিত হবে। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে খরচ ধরা হয়েছে ৩ হাজার ৮৮৫ কোটি ৭২ লাখ টাকা।

জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে ২১টি প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কেন্দ্রে এক বৈঠকে প্রকল্পগুলোর অনুমোদন দেওয়া হয়।

বৈঠক শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, ঢাকা (কাঁচপুর)-সিলেট মহাসড়কটি এশিয়ান হাইওয়ে এবং সার্ক হাইওয়ে করিডোরের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এটি উপ-আঞ্চলিক বাণিজ্য সম্প্রসারণ ও বৃহত্তর সিলেট অঞ্চলের সঙ্গে রাজধানী ঢাকাসহ অন্যান্য অঞ্চলের যোগাযোগের প্রধান করিডোর। সে জন্য ঢাকা (কাঁচপুর)-সিলেট মহাসড়ক চার লেনে উন্নীত করা অপরিহার্য হয়ে পড়েছে। ভবিষ্যতে ঢাকা-সিলেট-তামাবিল মহাসড়ক চার লেনে উন্নীতকরণ এবং উভয় পাশে পৃথক সার্ভিস লেন নির্মাণের জন্য যে বিনিয়োগ প্রকল্প নেওয়া হবে, তার লিংক প্রকল্প হিসেবে ভূমি অধিগ্রহণ এবং ইউটিলিটি স্থানান্তর কার্যক্রম শেষ করা প্রয়োজন। এই প্রকল্প এশিয়ান হাইওয়ের অংশ হিসেবে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কটি চার লেনে উন্নীতকরণ কাজ সহজ করবে। একনেকে ২১টি প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। প্রকল্পগুলোর মোট ব্যয় ১৯ হাজার ৭৭৮ কোটি ৭৩ লাখ টাকা। এর মধ্যে জিওবি ১৭ হাজার ৩১৬ কোটি ৯৩ লাখ টাকা, সংস্থার নিজস্ব তহবিল ২৩৩ কোটি ৯৩ লাখ এবং বৈদেশিক প্রকল্প সাহায্য ২ হাজার ২২৭ কোটি ৮৭ লাখ টাকা। একনেকে ‘কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগার পুনর্নির্মাণ’, ‘৩৫টি ড্রেজার, সহায়ক জলযানসহ আনুষঙ্গিক সরঞ্জাম সংগ্রহ এবং প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণ’, ‘দ্বিতীয় নগর অঞ্চল উন্নয়ন’, ‘ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক পুনর্বাসনসহ নর্দমা ও ফুটপাত উন্নয়ন’ ও ‘বরিশাল শহরের জলবায়ু পরিবর্তন অভিযোজিত নগর উন্নয়ন প্রোগ্রাম’ প্রকল্প অনুমোদনের দেওয়া হয়েছে। ‘সৌর বেস স্টেশন স্থাপনের মাধ্যমে দুর্গম ও প্রত্যন্ত অঞ্চলে টেলিটক নেটওয়ার্ক কভারেজ শক্তিশালীকরণ’, ‘কেরানীহাট-বান্দরবান জাতীয় মহাসড়কের যথাযথ মান, প্রশস্ততা ও উচ্চতায় উন্নীতকরণ’, ‘জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকতর উন্নয়ন’, ‘বাংলাদেশ সরকারি কর্মকমিশন সচিবালয়ের ৭টি আঞ্চলিক কার্যালয় প্রতিষ্ঠাসহ সক্ষমতা বৃদ্ধীকরণ’, ‘সিপিজিসিবিএল-সুমিতোমো ১২০০ মে.ও. আল্ট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের লক্ষ্যে ভূমি অধিগ্রহণ ও আনুষঙ্গিক কার্যক্রম’, ‘পায়রা ১৩২০ মেগাওয়াট তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র সংযোগ সড়ক ও আনুষঙ্গিক অবকাঠামো নির্মাণ’ প্রকল্পেরও অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

‘এস্টাবলিশমেন্ট অব থ্রি হ্যাল্ডলুম সার্ভিস সেন্টারস ইন ডিফারেন্ট লুম ইনটেনসিভ এরিয়া’, ‘বাংলাদেশ তাঁতশিক্ষা ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট, নরসিংদীর আধুনিকায়ন ও অবকাঠামোগত সম্প্রসারণ’, ‘বৃহত্তর ময়মনসিংহ পল্লী অবকাঠামো উন্নয়ন’, ‘গড়াই নদী ড্রেজিং ও তীর সংরক্ষণ’, ‘চাঁদপুর সেচ প্রকল্পের চর-বাগাদী পাম্প হাউস ও হাজিমারা রেগুলেটর পুনর্বাসন’, ‘রংপুর বিভাগ কৃষি ও গ্রামীণ উন্নয়ন’ ও ‘মহিষ উন্নয়ন (২য় পর্যায়)’ প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া ‘কক্সবাজার জেলা উখিয়া ও টেকনাফ উপজেলায় পানি সরবরাহ ও স্যানিটেশন কার্যক্রম জরুরি সহায়তা’ এবং ‘কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকতর উন্নয়ন’ প্রকল্পও অনুমোদন পেয়েছে একনেক সভায়।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close